প্রতিদিন মৃত্যুর পর অসংখ্য রিজওয়ানুর
আত্মহত্যার চিরকুট লিখে রাখে নিজেরই বুকপকেটে
কোলাহলহীন ব্যস্ত রেল পথকে সাক্ষী রেখে
ফিতেছাড়া একখানা জুতো পড়ে থাকে নীরবে
শবদেহ থেকে কিছুটা দূরে, শার্টের দু-একটা বোতামও।
টানাহেঁচড়ার স্পষ্ট ছাপ ফুটে ওঠে কোমল মাটির বুকে।
অশ্বত্থবৃক্ষের ধূসর ছায়ার অনুভাবে ঢেকে যায় আলো
নষ্ট রাজনীতি খেলা করে পরিপুষ্ট হৃদযন্ত্রের সাথে।

প্রিয়াঙ্কারা অনিচ্ছাসত্ত্বেও মালাবদল করে একদিন
কালের নিয়মে সময় এগোতে থাকে,
শরীর গড়ে তুলে একটি নতুন সম্পর্ক,
কিন্তু হৃদয় পড়ে থাকে অন্ধকার গোলকের গভীরে,
বছর খানেকের মাথায় কিংবা তার আগে বা পিছে
পৃথিবীতে আসে এক নতুন অতিথি
হয়তো আরেকটা রিজওয়ানুর নয়তো প্রিয়াঙ্কা।
ধীরে ধীরে আবার বেড়ে ওঠে দু'আকাশ ভালবাসা....

রিজওয়ানুররা মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে অনায়াসে, কিন্তু
প্রিয়াঙ্কারা বেঁচে থেকেও মৃত্যুকে ছুঁয়ে দেখে প্রতিদিন!
পৃথিবীতে সম্পর্কের কোন মৃত্যু নেই, আছে শুধু জন্ম।


রচনা--- ২৯/১২/২০১৪ইং
© জুয়েল।