বেশ কিছুদিন তোমায় দেখা হচ্ছিলনা,
যে ক'দিন তোমার-আমার গন্তব্যে ছুটি ছিল।
এ ক'দিন জানলাটা খুলা রেখেছি অহরহ,
বাতাসে ভেসে আসা তোমার শব্দেরা
রেশমি পর্দায় জমবে ভেবে...
ঝমঝম বর্ষায় আপাদমস্তক অবগাহিত সেই তুমি
যেদিন প্রথম এসেছিলে আমার ঘরে
ভেজা চুলের যে গন্ধে আমায় বিভোর করেছিলে
গেল ক'দিন সেই নেশার টানে বারবার
ভোরের শিশিরকণা মাখা গোলাপে ঘ্রাণ শুঁকেছি আমি।
কাঁচের টেবিলে জমা হালকা ধুলোয় তোমায় এঁকেছি
লজ্জা লজ্জা চোখ, সুতীক্ষ্ণ নাক আর হাসি হাসি ঠোঁট
দুহাতের চিকন আঙুলের কোমলতা আর
পরিপাটি পোশাকে আবৃত তোমার পাতলা অবয়ব।

জানি আজ পূর্ণিমা নয়, নেই কোন আলোর আয়োজনও,
যেখানে তোমার আসার কোন অবকাশই নেই।
কিন্তু অকস্মাৎ এই নিঃশব্দ উদাস সন্ধ্যায় তুমি হাজির
নিজে থেকেই আমার ফ্যাকাসে আকাশে;
হঠাৎ আমাকেই মানতে পারিনি আমি নিজেই!
তারপর যেন চারপাশে চির বসন্তের সাজোল্লাস
সোনালি স্বপ্নের সন্তর্পণ আনাগোনা
কিলবিল হাসি মাখা লাল-গালভর্তি মুক্তির স্বাদ
আর নিরিবিলি কিছু কথাহীন আবেগীক মুহূর্ত
এক পলক কৃত্রিম রাগ, ছোট ছোট মান অভিমান।

তুমি কাছে এলে যে কোন সময়ই বসন্ত নেমে আসে,
সমস্ত বিষন্নতা জানিনা কোথায় পালিয়ে যায়,
অস্তিত্বহীন যত দুঃস্বপ্ন ভিন গ্রহে পাড়ি জমায়
তুমি এলে আমি পৃথিবীকে হাতের নাগালেই পাই,
বুক ভরে নিতে পারি মুক্তশ্বাস.....
আমায় কথা দাও ইতি, তুমি এবার চলে গেলেও
আবার ফিরে আসবে, আসবেই। কথা দাও।



রচনা ----- ২৬/১২/২০১৪ইং
© জুয়েল