অকালে ঝরে পড়ল একশো বত্রিশটি তাজা গোলাপ!
যদিও এখনই এভাবে চলে যাওয়ার কথা ছিলনা ওদের,
তবুও ঝরে যেতে হল একসাথে ওরা সব্বাইকে!!
বিষাক্ত বীর্যে গঠিত কিছু কূটিল মস্তিষ্কের নষ্ট প্রভাবে।
শেষমেশ পড়ুয়াদের রক্তের স্বাদ নেওয়া বাকী ছিল বুঝি?
বুলেটের আঘাতে দেয়ালের ফুটো ধরে শুনা গেছে বিপন্ন চিৎকার
চারপাশে আজ দ্রুত ছুটে বেড়াচ্ছে জমাট রক্তের উত্তপ্ত ঘ্রাণ
স্বজনদের আর্তনাদে এখনও ভারি হয়ে উঠছে উন্মুক্ত বাতাস
মেঝেতে পড়ে আছে কয়েকটি রক্তিম জুতো আর শীত পোশাক....
খাতা কলমেরা নৌকো-দাঁড় হয়ে ভেসে গেছে রক্তের খরস্রোতে।
যেন থামিয়ে দিয়েছিল কিছুক্ষণ পুরো পৃথিবী এ নিষ্ঠুর বর্বরতা,
প্রেমিকার গোলাপি ঠোঁটে নেমে এসেছিল অমাবস্যার অন্ধকার,
পাষাণ হৃদয়ও গলে যাচ্ছিল; উষ্ণতায় হিমালয়ের বরফের মত,
শব্দেরা হারিয়ে গিয়েছিল শুকনো জিভের অকৃত্রিম আড়ষ্টতায়।
ধিক্কার ধ্বনি ছুটে যাচ্ছে শুধুই। আর করার কিছুই কি নেই আমাদের?
কোন প্রতিশোধের নেশায় বয়ে গেছে এ ভয়ানক রক্তের বন্যা?
কী অপরাধ ছিল বিষাক্ত কুনজরে পড়া এ নিষ্পাপ প্রাণগুলোর?
হিংস্র জানোয়ারেরা এখন মানুষের মুখোশ পরছে,নাকি ঠিক উল্টোটা?
রাজনীতির কালোপাথর ছুড়াছুড়ি এভাবে চলবে আর কতকাল?
আছে কারো কাছে এসবের উত্তর, আছে সান্ত্বনার ভাষা কারো জানা?
(বিঃদ্রঃ -- কবিতাটি পাকিস্তানের পেশোয়ারে সন্ত্রাস হামলায় নিহত সকল ছাত্রছাত্রীদের নামে উৎসর্গ করছি। এখানে উল্লেখিত নিহতের সংখ্যাটি পরিবর্তনযোগ্য।)
রচনা----১৭/১২/১৪ইং
© জুয়েল