শ্বেত ভালুকের গাঢ় লোমে লেগে আছে চির হেমন্তের হালকা শীত
পুনঃব্যবহার অযোগ্য চায়ের পেয়ালায় আমি খুঁজে ফিরি উষ্ণতা
যন্ত্র মানবীর কর্কশ হাতের আদরে চেপে যাই কর্মক্ষম বোধযন্ত্র
তোশকের বিছানায় তুলো নেই, নিয়ে গেছে সব কোন এক শীতার্ত ইঁদুর
সব জড়তা কাটিয়ে শীত পোশাকেরা পায়চারি করছে ঐশ্বর্যশালী বারান্দায়।
মেঘহীন আকাশে ফুটে ওঠা অকাল রংধনুর মত যেন বাহারি রঙের মেলা
আমার আলমারির তাকে কর্পূর ছিলনা
তাই পিঁপড়েরা করেছে রাজত্ব বহুদিন।
ফুটপাতে কেবল বাড়ছে উৎপাত, কাকেদের দল বিক্রি করছে পণ্য,
ফুসকাওয়ালা কাছে টেনে নিচ্ছে রোজ স্বপ্ন মানসীর উত্তপ্ত ঠোঁট।
আবর্জনার স্তূপ থেকে ছেঁড়া মাদুর কুড়িয়ে নিচ্ছে বেড়ালের দল।
দিনভর ফোনালাপে ব্যস্ত প্রেমিক-প্রেমিকার আবেগি চঞ্চলতা
অসহায় পিতার গাল বেয়ে ঝরে পড়ে হিমায়িত অশ্রু কণারা।
তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস মুছে দেয় নীরব স্বপ্নের সমস্ত আয়োজন।
আমার বিছানায় আজ কোন যন্ত্রণা নেই; তবুও আমি
ঝিঁঝিপোকার ঘুমের অধিকার কেড়ে নিয়েছি বহুকাল।
রচনা-----১৬/১২/১৪ইং
© জুয়েল