কাঁচের স্বচ্ছতা ভেদ করে শুধু ছোঁয়েছে তোমায় সূর্যালোক;
মুহূর্তে দেখি ভিড় করছে চারপাশ মৌলোভী যত পিঁপড়ের দল
বসন্তের আগমন এখনও ঢের বাকী। তুমিও জানো নিশ্চই।
তবুও কোকিল গাইছে কেবল প্রেমেরই গান! এখানেই যত ভয়।

ভাবছি আমি ভেঙে দেব শেষমেশ একদিন;
যত আঙুল মুখিয়ে আছে তোমার দিকে,
উপড়ে ফেলবো আছে যত বিষাক্ত চোখ,
টেনে খুলে নেবো সব পরিপাটি মুখোশ আর নকল দাঁত
ছিঁড়ে ফেলবই দস্যুদের বহুমূল্য রাত পোশাক।
ওদের কলপ-বাটি ছুড়ে ফেলবো বরাকের বুকে;
উন্মুক্ত করে দেব মাথা ভর্তি যত দুধসাদা চুল।

ধ্বংস করে দেব শেকড় সমেত শৌখিন আগাছার স্বপ্ন
পুড়িয়ে ফেলব যত অজেয় স্বর্ণলতার সোনালী সুখ
মৃত গোলাপের কাঁটায় গেঁথে দেবো সব অসুস্থ শরীর
ফণীমনসার মত ন্যাড়া করে দেব সুশ্রী ত্বকের হাতছানি
আর কাগজের নৌকোয় ভাসিয়ে দেবো যত কূটকৌশল।
সবকিছু জঞ্জালের মত ছুড়ে ফেলবো ডাস্টবিনে।
লোমকূপে আটকে থাকনা অসময়ের গাকাঁপা শীত।
তাতে পৃথিবী আমায় বলে বলুক সন্ত্রাস কিংবা ক্ষ্যাপা......

তবুও মুছে দিতে পারিনা আমি সেই ডায়েরীর একটাও অক্ষর
যেখানে তোমার-আমার হৃদয়ের গোপন দুর্বলতার বসবাস।


রচনা----- ১৫/১২/১৪ইং