চারদিক ছেয়ে যাচ্ছে বিষন্ন ধূসরতা
প্রসাধনহীন ঠোঁটে লেগে আছে অবসাদ
নরকের দরজায় এত বাহারি আলো কেন?
মহোল্লাসে ঝাঁপ দিচ্ছে কীটপতঙ্গের দল
রক্তে রক্তে মিশে গেছে বিপন্ন মগজের ঘিলু
সোনালী হাতছানি দিচ্ছে কেবল দু্র্ধর্ষ শয়তান
শ্মশানের ধোঁয়ায় ছিটকে পড়ছে তাজা রক্ত
মায়াবী খাপ শান দিচ্ছে ক্ষুধার্ত তলোয়ারে
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে স্নায়ুহীন দুলন্ত পুতুল
বিষাক্ত মুখগুলো মিলিয়ে যাচ্ছে মানুষের ভিড়ে
শরীর থেকে খসে পড়ছে প্রতিদিন সুস্থ মাংসকোষ
ক্ষতগুলো ঢেকে দিচ্ছে বেশ্যাপাড়ার লোলায়িত চোখ।
বাজেয়াপ্ত কঙ্কালগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে কুর্তার অবয়বে
পুঁথিশালা থেকে দ্রুত ছড়াচ্ছে বারুদের আকর্ষিত ঘ্রাণ
থলি থেকে বেরিয়ে আসছে কেবল বেড়ালের শব্দ
নরম পথ ফিরিয়ে দিচ্ছে আমাদের মোলায়েম আদর
বাতাস ধরে হেঁটে যাচ্ছে বীভৎস পৈশাচিক হাস্যধ্বনি
শব্দের ঝাঁজে ফোসকা পড়ছে দুর্বল হাড়ের সন্ধিস্থলে
নরম পিঠগুলো ঠেকে যাচ্ছে কংক্রিটের শক্ত দেওয়ালে
অশ্রুহীন কান্নারা ঝরে পড়ছে অসহায় শরীরের গাল বেয়ে।
সত্তা নেই, শিরার উষ্ণতা নেই, ঘুরে দাঁড়াবার সাহসও নেই??
মানবতা তুমি মুছে দাও মানুষ, চেপে যাও সবকিছু মুখোশে।
----------------------
রচনা---- ১৪/১২/১৪ইং