তখনো ভোর ফুটে ওঠেনি, চারপাশ পাখিদের কলরবহীন।
দিনান্তের আমলকীর স্বাদ মিশে আছে হৃদ্যতায়।
অতল সমুদ্রের ফেনিল ঢেউয়ের চিহ্ন লেগে আছে পাদ্বয়ে।
হঠাৎ যেন অমানিশার অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছিল মুহূর্তে
মোতিহীন ঝিনুকের দল ঘিরে রেখেছিল আমায় অটুট প্রাচীরে।
তাতে কি যায় বা আসে আমার? তবুও....
সেই কবে ভোরে এসেছিলে পরিযায়ী পাখির মতন,
আর এখন সময় দিনান্তের বলয় পেরিয়ে
চতুর্দশীর কৃত্রিম উদ্দীপ্ততায় মোহাকৃষ্ট। যেন
এই ফাঁকে অন্তত দুবার প্রদক্ষিণ করেছে আমায়
সুদীর্ঘ চুয়াত্তর বছরের পথ পাড়ি দেওয়া হেলির ধূমকেতু
কোন অসহায় মৃত্যুযাত্রীর অনুচ্চারিত তীব্র আর্তনাদ
আমার হৃদয় বিদীর্ণ করে দিচ্ছিল ভঙ্গুর আয়নার মত
রাতদুপুরের খাঁ-খাঁ নীরবতা গ্রাস করে নিচ্ছিল আমায়।
জানইতো আমার
ঐহিক স্বর্গ-স্বাদ তোমার কোমল হাতের স্পর্শেই শুধু।
তোমার নীলাক্ষীতে যেন থেমে থাকে আমার সমস্ত পৃথিবী!
প্রসাধনহীন ঠোঁটে লেগে থাকেনা তোমার বিষন্ন ধূসরতা,
হাতের নীলাভ রক্তের শিরায় গুলিয়ে ফেলি আমি আহ্নিকগতি।
তোমার দৃষ্টির ভাজে লেগে আছে যে, সমস্ত সম্পর্কের প্রেক্ষাপট
এত তাড়া কেন তবে হৈমন্তি?
দেখনি, ঐ বাবুলের ঝোপে আমি ফেলে এসেছি ঘড়িগুলো?
তবুও চলে যাচ্ছে সময় তার মত করে। যেমনটা আগেও যেত.....
আমিও একদিন ঝরে যাব শুকনো গোলাপের পাপড়ির মত;
ঝাঁপিটা নাহয় সেদিন তুমি বন্ধ করেই দিও।
আজ অন্তত কিছুটা সময় ধার দাও আমায়,অন্তত এই সন্ধ্যেটা।
রচনা------ ১৩/১২/১৪ইং