নিয়নের এলোমেলো আলোয় নাচে চিকন কোমর
নীলাভ কৃত্রিমতায় বর্ণাঢ্য আবেগি মোহমায়া
জন্মান্ধেরও চোখ আছে, শুধু নেই দৃষ্টি
অবাধ্য দোলন দুলে কার জন্য নগ্নপ্রায় স্তন?
মাঝবুক ধরে বয়ে চলে স্রোতহীন গঙ্গা
থেমে যায় অভিশপ্তের প্রায়শ্চিত্ত, মরীচিকা;
চোখ আছে দৃষ্টিও আছে, তবুও প্রতারিত অনেকেই
মাতাল চোখ মেপে নেয় কিছু নির্দিষ্ট দেহাংশ
টেবিল জুড়ে পড়ে থাকে টাটকা বিরিয়ানি
আর ছিপি খোলা কিছু বিলিতি মদের কেন
অন্তর্বাসের উষ্ণতায় ভাপে বিষাক্ত করতালি
নষ্ট গানের কলি চুমু খেতে ব্যস্ত ক্ষুধার্ত দেয়াল
পানশালায় বিনামূল্যে মেলেনা কিন্তু রাতজাগা ওষুধ
ঘুমচোর; সযত্নে কেড়ে নেয় রাতপোশাকের অধিকার
তারপর পূর্বাকাশে জেগে ওঠে আরেক নষ্ট ভোর
দৈনিকের অর্ধেক পাতা জুড়ে কিশোরীর গণধর্ষণ!
নারী শোষণের প্রতিবাদে পথে নামে কিছু শরীর
কামুকেরা গলা ফাটায় ছিমছাম মুখোশে আড়ালে!!
কে বা কারা করে যায় চিৎকার, আর কারা যেন কাঁদে?
পথের ধূলো শোষে নেয় সবকিছু। নিভে যায় মোমের আলো।
বড় অসহায় দৃষ্টিপাতহীন এই অবরুদ্ধ জীবন!
শব্দহীন দেয়ালঘড়ি, কেন তুমি আজকাল হলে এতটা কৃপণ?
পারদে উড্ডীন উন্মাদনা, উত্তেজনা লেগে আছে ভরপুর
ঘুমচোর; আমায় ছুড়ে ফেলে দেয় নিঃসঙ্কোচে বহুদূর।