মাহমুদ দারবিশের আল বানাতুস সাখরা কবিতার ছায়া অনুবাদ

সমুদ্র তীরে
একটি মেয়ে ছিল,
মেয়েটির
ফ্যামিলি ছিল,
থাকার
একটি ঘর ছিল,
ঘরটির
দুটি জানালা আর
একটি দরজা ছিল...
সমুদ্রে ভাসমান
একটি
যুদ্ধজাহাজ ছিল,
মানুষকে
নির্যাতন করা
তাদের অভ্যাস ছিল।
কোনোদিন
চার কিবা পাঁচ,
আবার কোনোদিন
জনাসাত নিপীড়িত হচ্ছিল।
নির্যাতনের পর
আঘাতে জর্জরিত দেহগুলো
ফেলে রাখা হচ্ছিলো
সমুদ্র উপকূল
বালুর উপর।
মেয়েটি
খুব কমই তাদের
সারিয়ে তুলতে পেরেছিল,
কারণ
মেয়েটির হাতে
ছিল কুহেলিকা,
তবে ছিল না
ঐশ্বরিক হাতের শক্তি
যা নতুন করে
জীবন করবে দান।
একদিন মেয়েটি
ডেকে বললো বাবা!
বাবা!
চলো না!
আমরা চলে যাই
এখান থেকে,
এ সমুদ্র উপকূল
আমাদের
উপযোগী নয় বাবা।
কিন্তু,
সমুদ্র তটে পড়ে থাকা
বাবার
নিথর দেহ থেকে
কোনো উত্তর এলো না।
রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল
খেজুর তলা আর
সমুদ্র ফেনা।
মেয়েটির আর্তনাদ আর
আর্তচিৎকার
উঁচু থেকে
উচ্চতর হলো
সমুদ্র উপকূল ছাপিয়ে
দিগন্তে ছড়ালো
তার কান্নায়
রাতের নীরবতা
খান খান হয়ে
বিধ্বস্ত হলো,
কিন্তু
তার কান্নার
কোনো প্রতিধ্বনি
এলো না।
তার এ আর্তনাদ
খবরের কাগুজে এলো
কিন্তু,
তার খবর নিতে
কেউ
এলো না।
এলো
শুধু চুড়ুই পাখির দল
তারা
তার দরজায়
জানালায় আর বাড়িতে
কিচিরমিচির
সুর তুলে
তার সমব্যথী হলো।