নীল আকাশের নীলিমাতে
সাঝ বেলা অই সন্ধ্যারাতে
মেঘ ভেলাদের হাতছানি আর
দখিন হাওয়ায় প্রাণ জুড়াতে
বালুর চরের সবুজ ভূমি
নগ্ন পায়ে মাড়িয়ে দিতে
অই সেদিনও যেতাম ছুটে
ভ্রক্ষ্মপুত্রের অই পাড়েতে।
দৃষ্টি আমার যায় যতদূর
এখান থেকে অই যে সুদূর
বাড়ির কোণায় কিংবা অদূর
সবখানেতেই সবুজ মাদুর।
মন জুড়াত চোখ জুড়াত
এসব দেখে প্রাণ জুড়াত,
একটু দূরেই নদীর ভেতর
শীর্ণকায়ে জল গড়াত।
পাখির দলের কিচির মিচির
মানব খাচার হৃদ জুড়াত।
সাঝ আকাশের লালের আভায়
সবুজ মাদুর স্নান করিতো।
কৃষাণ মুখে থাকতো হাসি
সকাল দুপুর বারোমাসি।
জুড়ত যদিও পান্তা বাসি
হতোও যদি স্বর্দী কাশি
তারপরেতেও সজীব ফসল
তাদের হৃদে আনতো খুশি।
সেই ফসল আজ পানির তলে
ডুবে আছে গভীর জলে
বানের তোড়ে বাঁধ ভেঙে সব
ডুবছে দেদার অথৈ তলে।
আবার কারো ফসল সাথে
ডুবছে দোরও সমান তালে।
কয়েকটা দিন আগেও যেথা
জল ছিল না নদীর তলে
সেই নদীতেই জল গড়ায় আজ
বুক ফুলিয়ে ঢেউয়ের তালে।
ফসল সাথে ঘর হারিয়ে
বানের জলে সব ভাসিয়ে
সেই কৃষকের মুখে আজও
কষ্টে চাপা কান্না-হাসি,
সেই সকালে একমুঠো ভাত
তাতেই দুপুর তাতেই রাত
আবার কভু অনাহারে
প্রভাত রাতের অন্ধকারে
পলিথিনের নোংরা ঘরে
থাকছে কত কষ্ট করে...
এইযে আমি কিংবা তুমি
দেখাই তো খুব মানবকামী
আলগা পিরিত দেখাই তো খুব
অনেক ভাল দেখাই রূপ
তবে কেনো আজ যাচ্ছি নারে
বানে ভাসা সব ঘরে ঘরে?
একটু আহার একটু খাবার
বিলিয়ে দিতে তাদের তরে?
কষ্ট করে সাহায্য হাত
উঠাইনা কেন তাদের পরে?
চল চল সবাই মিলে
দাঁড়াই তাদের পাশে,
সুখেদুঃখে সবাই মিলে
থাকি মিলেমিশে।
২০১৭ সালের আগস্টে বন্যায় কবলিত লোকদের নিয়ে লেখা।
সময়: ১৯. ০৮. ২০১৭