জীবন নদীতে ভাটা দেখি ধূ-ধূ চর
প্রতি বেলা কেটে যায় পেয়ে অবহেলা
যার তরে পথহারা সে হলো তো পর,
এভাবে শেষ হবে কি ক্রান্তির এ বেলা?
অস্তগামী প্রাণপাখি হতাশায় ভোগে,
শব্দে শব্দে দোষী হই ভ্রান্তির ক্রোধে।
দেহ তরী ঝিম ধরে নানা ব্যথা রোগে
জীবনের শেষপ্রান্তে বুঝেছি তা বোধে।
অযোগ্যরে যোগ্য ভেবে গাঁথীছিনু মালা
আবেগ দেমাগে ছিলো যৌবনের দোলা
স্রষ্টার দোষ কি দেবো কৃত কর্ম ফল
পড়ন্ত ভাটির বেলা দেহে নাই বল।
কাঁসাকে স্বর্ণ ভেবেছি হয়ে মন ভোলা
গলেতে পরি না আর ছলনার মালা।