দেখেও না দেখা- এই তো শুরু মেঝের উপরে ঘর
ধীরে ধীরে দেয়া একটা কাঁচ অন্যটার 'পর-
কালো মত চোখে পাবো পাবো তাকে ঈশান কোণে হাসি
শত মমতায় জন্মাল এক নাগরিক জল রাশি।।
এরপর ঘরে আসলো নতুন - অনেক রকম বাতি
সারাদিন- রাত জ্বলছে সে সেসব- দীপ্ত আলোকরাশি
এইতো ঘরে আসলো এবার বিশ্বাসের কড়া-
নাছড়ে কে বা- নাড়ছে নাড়ুক; চলছে মৃদু হাসি।
এক হাত রেখে অন্য হাতে দিব্যি চলছে বেশ
ঘরও হলো- দূর্গ হলো- বাড়ছে প্রেমের রেশ-
শত বাঁধা এলে পার হবো ভেবে- হাতে ছিলো দুটি হাত
বহুবার চোখে তাকিয়ে মিটে না একটা দেখার স্বাদ।
হঠাৎ কি হল! ঝড় হলো এক- কাঁচের দেয়ালে ঘা
শত ঝাউগাছ আছড়ে পড়ছে নিয়ম মানে না-
চাঁদ উঠেছে - তবু যেন বিশাল শুন্য দৃষ্টি,
দেয়ালের গাঁয়ে বিকট শব্দ- নতুন ফাটল সৃষ্টি।।
বাস- রিক্সা- রাস্তার ধার আর একটা একা হৃদয়
চিন্তার মাঝে জমে থাকা " তুমি" অচেনা ব্যথার জয়
হলো তো বেশ বছর শত লাগছে আজো ভয়
শত ব্যথা পেয়ে- শত নোনাজলে- আকাশটা তুমিময়।
দূরের অদূরে উঁকি দিয়ে চাঁদ হাসছে নিরন্তর
খুঁজে নিবে তার আপন আকাশ- আপন খেলাঘর,
স্মৃতি ঘেরা পথে কাঁচের দূর্গ, রাস্তার লাল চা-
সময় ঘুরে একা উড়া মেঘ- রাত্রি ভেজা গা।