আমি হাটে মাঠে আবেগ তুলতে শিখি নাই
আমার আবেগের ওজন কতটা জানা নাই,
ছোট কলিজা খানায় তোমারে রাইখাই জায়গা হয় না।
আবেগের দাম অনেক- আমার সস্তা শরীর দেহ-
এত দাম ধরতে পারেনা।
আমি হাটে মাঠে ঘাটে রং চায়ে চিনির বদলে আবেগ মিশাইয়া খাই-
আমার আবেগের ওজন কতটা জানা নাই।
আমি সারারাত ভরে এক আধখানা আবেগের প্রবন্ধ লেইখা আবেগ কুড়াই,
আমার আবেগ ঝাল মুড়ি প্যাকেট হইয়া যায়-
যার গায়ে গোটা অক্ষরের প্রেমের চিঠি লেখা।
আমি আবেগ খুঁজতে শিখি নাই-
আবেগ আমার ফুসফুসে নিকোটিনের ধোঁয়া হইয়া ঘুরে
আস্তে করে লেপটে যায় ফুসফুসের দেয়ালে।
আমার হৃদযন্ত্রে আবেগ গুড়ি মেরে শুইয়া থাকে-
রক্ত হইয়া ঘুরে পিণ্ডের ধমনীতে।
তোমাকে আবেগ দেখাইতে গেছিলাম-
আবেগের বদলে বাহির হইয়া আসে শাড়ি পরা নারী;
আবেগ হইয়া চিন্তায় বইসা থাকো তুমি।
আমার আবেগের ওজন কতটা জানা নাই
তবে এক-আধখানা কবিতা আর তোমার ওজনের সমান বইলা আমার ধারণা।