(এটি একটি অতি উত্তরাধুনীক কবিতা!
এটি বোঝানোর দায় কবির নয়,
বুঝুন নিজ নিজ দায়িত্বে, কারন কবি নিজে কিছু না বুঝেই লিখেছেন, এবং তার পর অসীম বিস্ময়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন৷
তবে পাঠকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এটি বোঝানোর ডিলারশীপ 'welcome' এর মজনু ভাই কে দেওয়া হয়েছে
পড়ুন এবং 'ওয়াও ওয়াও'— টাইপের মন্তব্য করুন)
রুদ্ধ দেয়ালের ভিতর
কি ভীষন অন্ধকারে হাটতে হাটতে
একদিন শ্বাপদের মত তেরো হাততুলে
ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম৷
গিরিপথগুলো পিছোতে পিছোতে
ফিরে গেছে কোন অতীতে, হয়েছে পিছল...
কতকটা পিঙ্গল শ্যাওলার লালসার মত৷
তরুভূক তুমি, দাঁত নখ সব লুক্কায়িত গহন অন্দরে,
লোকে দেখেদেখে ভাবে আহা কি প্রণয়৷
শিরায় শিরায় আহা কত তাতা রস৷
তলিয়ে দেখেছি আরো গহীনের আরো বেশী রাতে,
যে রাত রক্তের মত জমে জমে কালো হয়...
আরো আরো আরো বেশী কালো কোনো ভোরে এসে উঁকিও মেরেছি৷
আসলে তোমার চেয়ে আরো বেশি ঘন কিছু চাই৷
নদীবুকে আগুনের তিলাঞ্জলি দিয়ে গেছে কোনো রক্তিম
বক্রগ্রীব দিগগন্তের রেখা৷
হৃদযন্ত্রের থেকে বিতারিত নীল রক্তেরা ভির করে,
সমাবেশ মাথার ভিতরে কোনো মাঠে৷
অনেক পিছনে কোনো দেয়ালের ঝুর ঝুরে টিকটিকি
ওসব বোঝেনি কেনো দিনই,
বুঝলেই কিবা এসে যেতো?