প্রথম ভালোবাসা নিজেকে
তারপর পৃথিবী ও আপনজন,
কে আছে কোথায় সব অজানা
মুখে আপন শুধু মাতারস্তন।
আকাশে বাতাসে মুক্ত বায়ু
চোখে আমার প্রথম আলো,
আমার হাসি কান্নার ধ্বনি
জগতের কাউকে দিলো ভালো।
শঙ্খ ধ্বনি পৃথিবীর কানে
জাগালো নূতন অতিথির ডাক,
আমার নব নব নিশ্বাসে
চন্দ্র সূর্য তারা হোল হতবাক।
পাড়া পড়শীর চোখে মুখে
চেনা অচেনা বিহ্বল বিষ্ময়,
পিতা মাতার ঘরে বাইরে
বিধাতার করুণা নিশ্চয়।
নূতন অতিথির মুখ দেখা
পৃথিবীতে নূতন প্রজন্মেরএকজন,
পড়শী হবে নূতন পুরাতন সবার
আগ্রহ সবার নীরব আমন্ত্রণ।
কারো মুখে হাসি কারো চোখে তৃষ্ণা
যার কোল হোল বহুদিন খালি,
নীরবে চেপে অশ্রুরাশি ছাড়ছে ঘর
অভিমানে–যেন চোখে পড়েছে বালি।
প্রথম দিনের জ্ঞান-হীন চেতনায়
যা বুঝিনি দেখিনি সেইই আমি,
কত পড়শীর মনে সুখ দুঃখ
দিয়ে গেল জানে শুধু অন্তর্যামী।
তবু কেন আসা নূতন দিনে
নূতন অতিথির সাজে কারো ঘরে,
প্রানীর সংখ্যা বাড়িয়ে এজগতে
আমার বাস লাগে খুব অন্তরে।
বয়স হলে যেদিন বুঝব সব
এ উদার ভাবনা থাকবেনা মনে,
তখন এ পৃথিবী হবে আরো জটিল
ফুরিয়ে যাবে সব উত্তপ্ত যৌবনে।
পেরিয়ে এসেছি অনেক আগে সেদিন
ভালো লাগবে না আর নূতন অতিথি,
আমিই বিরাগ এখন মনে প্রাণে
ভালো মন্দ সব বিধাতার বিধি।
তবু আমি সেদিনের নূতন অধিবাসী
গর্বিত আমি আমার সংসারের একজন,
পৃথিবীর হবো নিকট আত্মীয়
চিনবে আমায় ধীরে আমারই আপনজন।
আমার সেদিন জগতের বিহ্বল নয়
এ বিশাল অঘটন ঘটনা বিহীন,
আরো কত প্রাণ পাবে হেথা স্থান
ম্লান হবে মোর জীবনের প্রথমদিন।