সন্ধ্যের তল্লাটে ছেঁয়ে আসে গোষ্ঠের ধুলো
সরু পথে চাতক পাখি ঊর্ধ্ব মুখে
বাবলা গাছের তলার ধনুক ডালে
বোবা পেঁচা মুখভার চেহারায়
সংগমরত ইঁদুরের, ব্যাঙের শীতঘুম কালে
দরজায় কড়া নাড়ে বিষন্ন বিকেল
হিরণ্যগর্ভ থেকে অতিবেগুনী লেপটে স্মার্ত প্রেম
ঠোঁটের ডলায় বিশল্যকরণী'র রস মেখে
আঘাত জনিত ব্যথা যেন একপেশে হিংসের
সহস্র কণা আরো পাঁজরের বায়ু-পেশী টানে,
আজ মর্মাহত; নিবর্তন শুধু জীবনের প্রহর জানে
পরিণামদর্শী মানুষের নৈকট্যে
খাদির চাদরে আবৃত ক্লেশ-পিঁড়া
এই তল্লাটে প্রকোপ বাড়ে কুকুরের কান্নার
পরিযায়ী পাখির বিশুদ্ধ মিশ্রণে
সংশ্রবে নিপতিত যতক আঁধার
বগ গ্যাসের বুদ্বুদী শব্দে
কোথায় খুঁজিনা প্রেম-তোমার কাছে!
নিরুত্তর বোবা ভাষায় জানিও
গাছের হলদে পাতায় নাইট্রোজেন অভাব বুঝেছে
ঘোলাটে চোখের ভেতর তালিকাবদ্ধ
কখনো গাঢ়-গভীর তলে দৃষ্টি রাখ
জেলি পদার্থের নিয়মিত অনুসরণ করে
জানলার ধারে ল্যাংড়া শালিক।
খরা মুখ শুধু কস্মিনকালে
এক ফালি হাসে, একবার কথা বলে
বিবর্জিত শ্লাঘা, মনে হয়
কোন কালে ডুবে গেছিল এমন ধুলোর আস্তরণে
উত্থিত যৌনাঙ্গের নিভে যাবার মতো
প্রস্ফুটিত কাঁটা গোলাপ- মেনে নাও
তুমি ঝরে যাবে এই ক্ষণে, অথবা
প্রেমিকার হাতে তুলে দেবে, মৃত্যুদণ্ড!
যখন অসিত বরণ মেঘ, সূর্যাস্তের শেষ আলোয় দেখি
নির্বিকল্প সংযম
ভাঙা পায়ায় ঠেস দিয়ে আকার বিহীন বাতাস চিবই শুধু।