বনের ভেতর দিয়ে হেঁটে হয়েছি ক্লান্ত
পাখিদের শব্দ সংগীতে যে নদী ছোঁয়ার কথা
পরিখার জলে শাদা কাফনে মোড়ানো জোড়া বক
সেদিন আর স্নান করা হলো কিছুতেই
দর্শনীয় আশ্চর্য স্পৃহা তোমার গোমড়া মুখে
প্রাচীন বিস্ময় খুলে রেখেছ নতুন অবয়বে
ছায়ার পাটাতনে শুয়ে শুয়ে ঘুম এসেছিল
এতো গভীর আচ্ছন্ন- সে ঘ্রাণ মাতাল করেছিল
লোমকূপে কম্পিত প্রত্যঙ্গযোগ অবিশ্বাস্য!
স্নিগ্ধ অরণ্যে, নদীর কোল ঘেঁষে, লতাগুল্মে
বরাবর একটি পুরোনো কুটির কল্পনা করেছি
নীল বনফুল অথবা মধুমঞ্জুরী'র নিবিড় সে ঘরে
বাতাসে সুগন্ধি কণা,
সিঁদুরে লাল টিপ সম্মোহনী- ধ্যান ভগ্ন ঋষির
অভিশাপ নেই, ভোগ নেই, ত্রিনয়ন জুড়ে আলো
খুলছে জট, শুয়ে শুয়ে একে অপরে- একটি পৃথিবী গড়ছি ভবিষ্যতের।
কেন ক্লান্তি আসে, পিয়াসার কুয়োর ভেতরে
বৈদ্যুতিক অন্ধকার
আরো গভীরে আবিষ্কার করছি অব্যর্থ যন্ত্রণা
ক্রমে গাঢ় হচ্ছে, চোখের পাতায় শুধু সমস্ত ক্ষোভ
এলোমেলো চুলের ভেতর তোমার সাহসী আঙুল
পরিবর্তিত ত্বরণে ত্রিশঙ্কু দশা
ভোর হতে হতে ধান পেকে যায়, সোনালী শীষের
উপর হীরের নাকফুল দেখি
ঘামের মতো সুন্দর উপমেয়রূপে।