কতো শক্ত মাটি দিচ্ছে চষে
চাষীর ওই লাঙল এর ফাল,
চাষির ওই বৃদ্ধ শরীরে, কাঁপনে
হাতে ধরেছে রেখেছে হাল।

গরু গুলো আধপেটা খেয়ে
মাটির বুক চিরে চলেছে ,
লাঙলের ফোলা এই পাথুরে  
মাটি দিয়ে শরীর দলেছে।

পাথুরে মাটিতে কাঠের গুড়ি
গরু দুটি মই ঠিক দিচ্ছে ,
চাষির কালচে গা ছেঁড়া ধুতি
রোদে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিচ্ছে ।  

হাল তো হলো কোনোরকম
চাষি তাকিয়ে আকাশ পানে,
বীজ শস্য দিয়েছে বুনন
কবে নামবে বৃষ্টি কে জানে।

দেখো দূরে ওই কৃষ্ণাচূড়া
গাছ তলায় চাষির কুঁড়ে ঘর ,
চাষিনী বোধ হয় কাঁচা উনান
জ্বেলেছে ধোয়া উঠছে জোর।

কৃষ্ণাচূড়া গাছে বাঁধা আর এক
গাভী প্রায় কয়েকদিন খায়নি ,
মুখটা উপরে তুলে গাছের পাতা
খেতে চায় তা সে নাগালে পায়নি।

সূর্যের তাপ বেজায় চারিদিক
ঘাসে আগুন লেগে যায়,
খাল বিল প্রায় কাদা জল
সকল প্রাণী পান করে হায়।