এ হৃদয় পাষাণ নয়
শীতল তুষারখণ্ডের ন্যায় নরম থেকে
নরমতর হয়ে একসময় গলিত হয়ে যায়, তাই
দিতে ভুলে গিয়েছি সকল অভিসম্পাত!
বিরহ যাতনা সইতে সইতে আজ পিষ্ট
মূল্যহীন এই নশ্বর দেহ।
হয়তো আমাকে ধরেছে অম্বলের রোগ।
অধরা-ই থেকে যাবে তোমার-আমার মিলন!
গভীর রাত্রির নিদ্রাভঙ্গ, বুকে জমা দীর্ঘশ্বাসে
মনে করায় শরতের সেই বিরহ-রঞ্জিত প্রাতের
কথা, নেত্র-কোণে ভাসায় বিন্দু বিন্দু বেদনার জল।

আমার ভাগ্যাকাশে সেদিনও উঠেনি
সুখের সোনালী নক্ষত্র,
অবহেলা নামক কালমেঘ সরায়নি
তার অভিশপ্ত দেহ।
প্রত্যাখ্যান নামক ভারি বজ্রপাত
হচ্ছিল বারংবার!
আমার বেদনার স্মৃতিভরা সেই
শারদ-প্রাতে তুমিই ছিলে
স্বয়ং ঈশ্বরের ভূমিকায়।
তাই আমার পৃথিবীতে সেদিন
ফুটতে দাওনি কোন শরতের কাশফুল,
শারদের নন্দিনী, যার রুপ
পৃথিবীর সকল রাজ-নন্দিনীর
রুপের উর্ধ্বে।