ঘড়ির কাটার ঘূর্ণন কিংবা ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানো,
ক্ষুদ্র প্রহর থেকে পূর্ণ দিবস, মাস থেকে বৎসর,
যুগ থেকে যুগান্তর  কিংবা সহস্র-শতাব্দী
পেরিয়ে যায় আপন গতিতে।
মরে যাওয়া শবদেহ পচে-গলে একসময় হয়ে যায় নিঃশেষ,
কোনো দেহ বা চিতার জ্বলন্ত আগুনে
পুড়ে হয়ে যায় ছাই!
আত্নাগুলো হয়তো পায় স্বর্গের অবারিত সুখধারা,
নয়তো ভোগ করে নরক-যন্ত্রণা!

মানুষের নশ্বর দেহ চলে যায় বলেই
জগতে জন্ম নেয় নবজাতক,
নশ্বর প্রেমিক হারিয়ে গেলে
আবার সূচনা হয় নবপ্রেমের, তাই
অবিনশ্বর প্রেম কখনো থেমে থাকার বস্তু নয়।
সে স্রোতস্বিনী নদীর মতো চিরকাল মানবহৃদয়ে প্রবাহমান!
মানবদেহ নশ্বর, কিন্তু অবিনশ্বর তার মানবাত্না।
পেমিক যদি হয় নশ্বর, তবে
প্রেম অবিনশ্বর, প্রেম অনন্ত!