পড়ন্ত বিকেলের আলোর রেখায় চঞ্চল স্বপ্নের ভ্রূণ
লুফে নিই বাজপাখির তীক্ষ্ণ শিকারি দৃষ্টির মুগ্ধতায়
মুহূর্তের সুযোগে,
সচেতন মস্তিষ্কের গোপন গহ্বরে সাজিয়ে রাখি সযত্নে।
তারপর ঝিঁঝিঁর টানা বিরহ গীতের সুরে ক্রমায়াত
আঁধারের মায়ায় আপ্লুত জোনাক প্রদীপের মত
বের হয়ে পড়ে এক সময় গোপন কুঠুরির খোলস ভেঙে
সাজতে থাকে আপন মনে যেমন খুশি তেমন সাজে,
বাস্তবতার তপ্ত মরুতে শ্রাবণের পরশ দিয়ে
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় তরঙ্গহীন স্বপ্নের জলধিতে
হিমেল বাতাসে প্রেমের ডিঙি সাজিয়ে পাল উড়িয়ে দিই আমিও
একমাত্র সঙ্গিনী আমার স্বপ্নালী,
স্বপ্নালী
অতুল সে অজস্র রঙ্গিন রূপসীর ভিড়ে
ধরণীর সে উপেক্ষা, ছলনাহীনা
শাসন বারণ ঊর্ধ্বে সকল বাধার,
চুপিসারে এক্কা দুক্কা খেলে আমার হৃদয়ের উঠনে,
এই প্রাণময় অন্তরের অন্ধরে লুকিয়ে থাকা
ভালবাসার সাগর সম্পূর্ণ তার চেনা
স্বপ্নের রঙে রঙ্গিন- সে স্বপ্নালী
হৃদয়ে তার অনুপম অমৃত সম প্রেম বিরাজে
ব্যথা যার অলংকার, হিংসা জাগে প্রকৃতিরও।
পৃথিবীর সকল রঙ ছাড়িয়ে হৃদয়ে তার ভিন্ন এক রঙ
মানবজাতি জানেনি যা কখনো
অদ্ভুত সুন্দর এক প্রেমের রঙে জড়িয়ে রাখে আমায়।
স্বপ্নালী
সুরের প্রস্রবণ কোলাহলে
কষ্টের দ্বিপ্রহরে ভালবাসার ছায়া।