গাঢ় কুয়াশার কৃত্রিম চাদরে ঢাকা স্বদেশ।
বিবর্ণ সময়, হোঁচট খেতে খেতে তবু
রক্তাক্ত পায়ে হেঁটে চলি অন্ধের মত
সত্যের দুর্গম পথ ধরে।
রক্ত লোলুপ হাঙরের তৃষিত পাহারায়
নির্ঘুম নৈরাজ্যের উত্তাল সাগরে
চেতনাহীন মানুষের অজস্র সারি
দিক ভ্রষ্ট করে বার বার,
সুযোগ বুঝে
দু-হাত ভরে নারকীয় অন্ধকার নিয়ে
ধেয়ে আসে হতাশার হিংস্র দানব
অসহায়ত্বের গর্ভে জন্ম নেওয়া
অনন্ত কালের পিপাসা নিয়ে।
ক্লান্ত পায়ে হিমালয়ের স্তব্ধ শীতলতার বন্যা জেগে উঠে,
কখনো চোখ রেখে দেখি
ভাগ্যের শূন্য আকাশ
সৌষ্টবহীন ভবিষ্যতের কালো কালির প্রলেপে ঢাকা,
তবু
খুঁজি ফিরি পথের দিশারী নীল তারা।
এক মাত্র সম্বল আশা ভেলা আঁকড়ে ধরি প্রচণ্ড আশায়
মুমূর্ষু সময়ের হাত ধরে ভেসে চলি অজানার পথে।
স্বপ্ন দেখি স্বার্থপর লোভীর জনসভা ভাঙবে একদিন,
বাঙালী আমরা দাঁড়াব এক কাতারে, গর্জে উঠবো এক সাথে
"ভাত চাই, কাপড় চাই, মানুষের মত বাঁচতে চাই"
উত্তাপে পুড়ে পুড়ে যাবে কুয়াশার গাঢ় চাদর
বজ্র কঠিন সমস্বরের ঝংকারে খান খান হয়ে যাবে অসত্যের পথ।
অমানিশার বুক চিরে ষোড়শীর মত হাসবে এক নতুন দেশ
বিস্ময়ে চেয়ে চেয়ে দেখবে পৃথিবী
নীল ভালবাসার রঙে রঙ্গিন এক স্বর্গীয় বাংলাদেশ।