না, আমি কবি নই - নিতান্তই এক সৌখিন কবিতা পাঠক মাত্র! আমি কবিতা
পড়ি মনের আনন্দে - খুব ভাল লাগে; - কবিতার মতো কে আর দেয় এত
সুখ, এত ভাললাগা! তাই, কবিদের প্রতি আমার অপরিসীম ভাললাগা, ভালবাসা,
শ্রদ্ধা আর ঋণ জমে ওঠে। এই ভাললাগা, ভালবাসা, শ্রদ্ধা আর জমে ওঠা ঋণ
শেয়ার আমার প্রতিদিনের পাঠ থেকে কিছু মনে গেঁথে যাওয়া কবিতার এই
সন্নিবেশ; - এ শুধু কোন এক অন্য অবসরে আরো একবার-বহুপাঠে কাব্যরস
আস্বাদনের আয়োজন বা প্রয়োজন মাত্র।
ভাললাগার ৫ কিংবা ১০ নামক শিকল আমাকে বেঁধে রাখতে পারেনি - আমার
ভাললাগা আজ মূগ্ধ হাওয়ায় পাল তুলেছে! আজকের প্রকাশিত ৬৯ কবিতার
সিংহভাগই চমৎকার কাব্যময়তায় সুসজ্জিত! আজকে হাতে আমার ভাললাগার
সিন্ধুজল - সাঁতরাবো, ডুবে যাবো, ভেসে উঠবো, সারাদিন খেলবো - আর
বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে উপভোগ করবো সিন্ধুভরা কাব্যঢেওয়ের সৌখিন বাতাসে
রসের খেলা! কী মজা!! কী সুখ!!!
আজকের কবিতাগুলো আমার প্রত্যাশার নীল আকাশ ছুঁতে চায়, সবুজ দিগন্তের
হাত ধরে হাঁটতে চায় আরো বহুদূর স্বপ্নীল পথ! - আমি আনন্দিত! আজকের
কবিরা, আমি দেখছি, খুব দ্রুত এবং প্রস্তুত পায়ে ভিড়ে যাচ্ছে সময়ের
মূলধারাবিন্যাসে-স্রোতে! - খুব ভাল লাগছে!
আজকের ৪২ কবির প্রতি আমার হৃদয়ের অকৃত্রিম উষ্ণতা নিবেদন! আর যাঁরা
কবি, হৃদয়-মেধা নিংড়ে কবিতা আনে এ কবিতার আসরে প্রত্যহ, যাঁরা এখানে
অবর্তমান (হয়ত আমার অপ্রস্তুত পাঠাভ্যাসে), সেই সব কবি-হৃদয়ের প্রতিও
আমার ভালবাসা অন্তহীন! তাঁদের হাতেও আমার কাব্যরস পান ও প্রত্যাশা
নিরন্তর! আগামিকাল তাঁদের কবিতার মূগ্ধতায় ডুবে যেতে চাই!
অন্যপাঠ থেকে আমার খুব ভাললাগা একটু শেয়ার করতে না পারলে কেমন
যেন সেই ছটফটানিটা জানালার পর্দায় উঁকি-ঝুঁকি মারে, পড়াতে মন
বসেনা! হা হা হা ... কবি, ক্ষমিয়ো অপরাধ!
১
Save the Candor
- BY AMIT MAJMUDAR
Every tripod-
toting birder
knows it never
nests on urban
girders. Even
fences set its
scalded-crimson
head askew, its
waddle swinging,
wings akimbo.
Few have got it
on their lists and
fewer still have
caught it singing,
this endangered
North American
candor, cousin
of the done-in
dodo, big-eyed
Big Sur tremor-
tenor — only
ten or twenty
hang glide over
Modoc County,
humbly numbered
(as their days are)
for us crazy
crown- and throat- and
belly-gazers.
Any niche as
fragile as a
candor’s renders
its extinction
certain. We can
sabotage its
habitat with
half a laugh or
quarter murmur,
fluster coveys
worth of candors
off their branches,
which, abandoned,
soon are little
more than snarking-
grounds for minor
birds, the common
snipe, the yellow-
bellied bittern.
২
April Midnight
- BY ARTHUR SYMONS
Side by side through the streets at midnight,
Roaming together,
Through the tumultuous night of London,
In the miraculous April weather.
Roaming together under the gaslight,
Day’s work over,
How the Spring calls to us, here in the city,
Calls to the heart from the heart of a lover!
Cool to the wind blows, fresh in our faces,
Cleansing, entrancing,
After the heat and the fumes and the footlights,
Where you dance and I watch your dancing.
Good it is to be here together,
Good to be roaming,
Even in London, even at midnight,
Lover-like in a lover’s gloaming.
You the dancer and I the dreamer,
Children together,
Wandering lost in the night of London,
In the miraculous April weather.
---------------------
কবিতা সুন্দরের প্রতিমা হয়ে আসুক, চিরন্তন হৃদয়-অনুভূতির ছবি হয়ে উঠুক,
মনন-শৈলীতে জেগে উঠুক, হয়ে উঠুক উজ্জ্বীবনের জীয়নকাঠি - এই চির
প্রত্যাশায় - সৌকপা।
--------------------------------------------------------------------
১
দাহপত্র
- অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিমর্ষ ধূসর ধুলোয় মাখামাখি আমার ইতিহাস
উপদ্রুত হাওয়ায় ভ্রষ্ট আমার দিনান্তের একাকীত্ব
উল্লেখ্য, সেদিনের ফুর্তিবাজ যুবকের দু-চোখে
এখন প্রান্ত প্রখর উদ্যান।
ছিটেফোঁটা মহত্ব যা কিছু উন্মোচিত যা কিছু যুবকের...
উল্লেখ, পংক্তিতে-পংক্তিতে অভিশপ্ত ভ্রণ সততই উজ্জ্বল
পরবর্তী প্রজন্মের প্রতীক্ষায়প্রহর গুণে-গুণে
অসহ্য তমিস্র গভীরে জেগে থাকে সে
ওই যুবক, কোটর জ্বলছে ক্ষোভে-বিক্ষোভে।
বিবর্ণ ধূসর কাদামাটি মাখামাখি যুবকের অতীতকাল
হাজার চোরাস্রোত অন্ধকারে ভাসাতে চায় তীব্র রিরংসায়
উল্লেখ্য, আমাদেরও ডর লাগে।
পাথরের মতোন শক্ত হয় যুবকের হৃৎপিণ্ড
হৃৎপিণ্ড ঘুরছে চক্রাকারে অসংখ্য অসুখে...
কৃমিকীটের মতোন পড়ে থাকে নিবিড়-নির্জনে
বিরামহীন যন্ত্রণায় কাঁপতে থাকে প্রাগৈতিহাসিক দুঃখে
যুবকের শরীরে রক্ত ঝরে অবিরাম
হায় ! যুবকের ইতিহাস যেন এক দাহপত্র, দাউদাউ...
--------------------------------------------------------------------
২
বাংলাদেশের গায়ে জ্বলন্ত বি-প্-ল-ব এখনো জ্বলে
- মুক্তি আর প্রেম মানুষের জন্যে
তখন ছিল শুধুই বিকেল
তখন ছিল শুধুই মিছিল
তখন ছিলাম আমরা ক'জন
কবি- বুদ্ধিজীবি- তরুণ রিপোর্টার,
ফুটপাতের ফুল-বুক্রেতা, স্কুল মাস্টার,
এবং দশ বছরের বালক বিপ্লব,
তখন ছিল শ্রাবণের শেষ কুঁড়ি দিন;
মানুষগুলোর চোখে মুখে পাঁজরের হাড়ে গ্রীবায়-
সাদা পায়রার এক চিলতে মুক্তির অবাধ উড়াল
তখন সময় ছিল এমন-ই ভীষণ বেপরোয়া উন্মাতাল
বাতাসে বিপ্লবের গন্ধ,
দুরন্ত চিতা'র চোখে লাল কাপড় বেঁধে
ধেয়ে আশা মাইন প্রলয় তুমুল রক্তপাত;
গ্রাম - শহর - মফস্বল মাইলপথ বিস্তৃত মাঠ
শ্লোগানে শ্লোগানে একাকার
প্রকম্পিত যৌবনে উঠল প্রতিবাদ
প্রিয় বাংলা অবুঝ বাংলা
স্বাধীনতা তুমি তোমার অমোঘ প্রচ্ছদে
একটি দেশ একটি জাতি মুক্তি পাক।
একজন মরল লাফিয়ে পড়ে,
আরেকজনকে বাযনেট বুকে খুঁচিয়ে,
আরেকজন ফাঁসির দড়িতে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ঝুলে
এভাবে এক দুই তিন নয় সহস্র লক্ষ
প্রতিদিন নির্বিচারে হত্যা, এক মুঠো ভাতের করুণ দাবী
দিনমজুর ধর্ষিতার কষ্টের প্রামাণ্যচিত্র
অন্যায় শাসন শোষণ ব্যতিত কি পেয়েছি নূর হোসেন
গণতন্ত্র, নিরপেক্ষ আদালত, স্বাধীন সবুজ মানচিত্র?
বায়ান্ন উনসত্তর একাত্তর নব্বই তখন এবং আজও
বুক বিঁধে উঠে যখন দেখি পায়ে পিষ্ট হয়
নিরাপরাধ অগণিত বিপ্লব
বিপ্লব বিপ্লব বিপ্লব
শোধ দেব দিন শেষে বালক বেলার প্রাথমিক ঋণ
খুলে দেব ক্ষান্ত বেদনার ব্যাকুল দুয়ার
পরিণামে পরাধীনতার ভয় দেখালে
নিরস্র কবিতার কুলীন সভায় মিছিল বিপুল মিত্র হবো।
বিপ্লব বিপ্লব বিপ্লব
বলে ডাক দিলে আবার যুদ্ধে যাবো।
--------------------------------------------------------------------
৩
তোমারই শূন্যতায় —তোমাকেই খুঁজি
- জি,এম, হারুন-অর-রশিদ
সময়ের শরীরে এখন অভিমানের ছোঁয়া,
পিপড়ের পিঠে সওয়ার হয়েছে অভিমানী সময়,
মূহুর্তগুলো ক্লান্ত হয়ে এখন অবসাদ গ্রস্ত
হৃদয়ের চন্দন বনে গুমোট বাতাসের হাহাকার
এই সব কিছুই তোমারই শূন্যতায়।।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–
বাস্তবতাকে দিয়েছি নির্বাসন
স্বপ্নকে করেছি সবচেয়ে আপন।।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–
সূর্যের বুকে দিয়য়েছি
ব্লেডের আঁচড়
নীল আকাশের বুকে বিছিয়েছি
শোকের চাদর।।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–
জলের বুকে অনল জ্বেলে
জলকে করেছি নষ্ট
সেই অনলে শীতল হতে গিয়ে
করেছি নিষ্ফল কষ্ট।।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–
নারীদের চোঁখে খুঁজে বেড়াই
বিশ্বাসের ভূমি
অবিশ্বাসের জোনাকী সব চোঁখে
সেখানে নেই তুমি।।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–
শৈশবের প্রিয় শিউলী তলায়
প্রতীক্ষায় থাকি
ক্লান্ত সূর্য ঘুমিয়ে পড়লে বুঝি
সবই ফাঁকি।।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–
গোটা বসন্তের বিকেল লুকিয়ে ফেলি
বুকের খাঁজে
কোকিলের নিঃসঙ্গতার সুর বেজে যায়
হৃদয় মাঝে।।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–
পূর্নিমার চাঁদকে নখেঁর আঁচড়ে
করেছি ছিন্ন বিন্ন
অন্ধ আক্রোশে আকাশের শরীরে একে যাই
নিস্ফল পদচিঁহ্ন।।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে
এখন আর খোঁজ করিনা
হতাশার হাত ধরে অভিমানের সাথে রক্তাত্ত হই
অহরহ ঝলসে্ যাই চোঁখের জলে
বিবশ যন্ত্রনায় হয়ে যাই বিপ্লবী
এই সব কিছুই তোমারই শূন্যতায়
শুধু তোমারই শূন্যতায়।।
--------------------------------------------------------------------
৪
এই নাও গোলাপ
- সৈয়দ জাহেদ হোসেন
এই নাও গোলাপ
**********
এই নাও গোলাপ,
-তাজা রক্ত গোলাপ, আমার জন্য?
আর কেউ আছে নাকি আমার?
-আমি কি তা বলেছি, দেবরাজ?
দেখ, এখনো ডাটার মাঝে কষ।
-হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি,
কেমন দেখলে?
-মানে?
মানে ডাটার কষ টা কেমন?
-আমি কি খেয়ে দেখছি?
খাওনা কেন?
-এত অসভ্য কথা তোমার মাথায় আসে কোথা থেকে?
তোমার পানে, সভ্যতা হার মানে,
তোমার কানে, ভালোবাসার গুঞ্জনে।
আমি প্রেমিক অসভ্য কেন আজ?
জানবে তুমি বেলা হবে যখন সাঝ।
-কই নিয়ে যাবে?
লাভ লেন,
-লাভ লেন?
আমার বাড়ী।
-মনে থাকেনা, তোমাদের রাস্তার নাম লাভ লেন।
চানাচুর খাবে?
-কুর কুর শব্দটা ভালো লাগে না,
তরমুজ খাবে?
-বেশী রস!
লাল রস, রস তো খুব ভালো,
-রস, কষ এগুলো কেন আজ?
এগুলো ছাড়া কি প্রেম হয়? আমড়া নিয়ে আসি?
-নিয়ে আসো। ভিটামিন সি,
হ্যাঁ আজ ভিটামিন সি খুব দরকার।
-ফাজিল।
ভালোবাসা নাও
*********
প্রিয় রাহী,
ভালোবাসা নাও।
আমার কষ্ট গুলো সব আজ সকালে,
যেইগুলো ছিল জমা সংসারের দুঃখ পালে।
পলিথিন ব্যাগে ভর্তি করে যখন ডাস্টবিনে ফেলতে গেলাম,
পৌরসভার সেবক এসে দাঁড়িয়ে, দিল এক লম্বা সেলাম।
-বাবু, কি আছে তাহাতে?
বলেই তাকিয়ে আছে হাতে।
আমি বললাম আছে ব্যাগ ভর্তি সব কষ্ট,
-বাবু, করবেন না এই ডাস্টবিন নষ্ট।
ফেলব কোথায় এসব?
-কষ্ট ফেলার জায়গাতো নয় এটি,
-পাঠিয়ে দিন সব কষ্ট ভর্তি করে চিঠি।
কার ঠিকানায় পাঠায় আমার কষ্ট গুলো সব?
কষ্ট গুলো কষ্ট পেয়ে করছে কলরব।
কষ্ট গুলো মুক্তি দিতে তোমার তরে চিঠি,
হাতে একটু থাকলে সময়, দিও তোমার দিঠি।
আজকাল তুমি বড়ই ব্যস্ত, সময় নেই এক ফোঁটা,
কিসের আশায়, কিসের নেশায়, এদিক ওদিক ছোটা?
তোমার দেবরাজ আজীবন রাখবে তোমায় সুখে,
সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাতে থাকবে তুমি বুকে।
বুক ভরা ভালবাসা দিয়ে কষ্ট করে দূর,
মনে প্রানে বাজিয়ে যাবো প্রেম কাব্যের সুর।
ছিঁড় ধরা এই মনে তোমার লাগিয়ে দিব জোড়া,
আর নয় কোন অভিমান, নয় কোন কাঁদা ছোরা।
ভালোবাসার জন্য আজি ডাকব ধর্মঘট,
মাতাল হাওয়ায় তোমার মনে লাগবে প্রেমের জট।
এরপরেও কি পারবে তুমি করতে আমায় না,
তোমার দেবরাজ তোমার প্রেমের আসল ঠিকানা।
এখানেই শেষ চিঠি,
তোমার তরে আজ,
ভালবাসায় সিক্ত হও। ইতি,
তোমারই দেবরাজ।
--------------------------------------------------------------------
৫
নিশান
- আশিক রহমান
একি ধংস খেলা? বেলা অবেলা!
চলছে, বলছে ধংস আসুক সকলি ভাসুক।
জীবন তীরে বীরের ভেলা
ভাংছে ভাঙ্গুক ভাবছে ভাবুক।
তাড়া! সাড়া নেই, ডুবছে ডুবুক।
ঐ হই করে, ভরে মরে, পরে ধরে
চড় মারে তারে, বাহি আসে লাল চাহি থাকে।
ধংসের পথে, ঘুরে ফিরে যায়।
আসে নাশে হায়।
চিতকার শোন, ধিক্কার পণ।
এসে তবে ভবে কী করি আবার?
সময় ভাবার, নেই সেই ঘড়ি।
কাটা ফাটা ভাগ্য যজ্ঞ আসন ভংগ
রংগ করি, নড়ি নাকো, তাই নাই হয়ে যাই।
স্রিস্টি আজ ত্রাসে ভাসে কাশে।
তাসের ঘরের খেলার নাশে।
বরণ করি মরণ চরণ,
অরুণ বরুণ স্মরণ করন।
যুদ্ধ করে বদ্ধ ঘরে, তোরই তরে,
আবার বিজয় দাবার খেলা জীবন ভেলায়।
--------------------------------------------------------------------
৬
মনের গান
- মহারাজ
বৃষ্টির হাওয়ায় মন ভিজেছে...
মনই বলে মনের গল্প-
রংরুটে ফের মন ছুটেছে...
সময়টা আজ বড়ই অল্প-!
তবুও তো খুঁজেই ফিরি; বাদলা দিনের রামধনুটা-
স্মৃতির দুকূল, ভরা জোয়ার; বানভাসি হয় এই মনটা
তবু বৃষ্টির হাওয়ায় মন যে মাতাল...
মনই বলে মনের গল্প-
রংরুটে আজ মন ছুটেছে...
হাতেতে সময়টা অল্প-!
জানিনা আমার কবে হবে, এই পথও চলার... শেষ?
দিশেহারা মন কি খুঁজে পাবে; স্বপ্নের সেই দেশ!
স্মৃতির প্রদীপ আজও জ্বলে স্বপ্নচোরা মনের কোণে-
আশার জোনাক জ্বলে নেভে; ফেলে আসা সেই পথের টানে!
বৃষ্টির হাওয়ায় মন ভিজেছে...
আজ মনই বলে মনের গল্প-
রংরুটে ফের মন ছুটেছে...
সময়টা আজ বড়ই অল্প-!
--------------------------------------------------------------------
৭
মাধবী বেদনা
- বাণীব্রত কুণ্ডু
পাখির ডানার ভিতর শৈশব কথা আঁকে ইলোরা মুদ্রায়
হেমন্ত জানালার ফ্রেমে নিঃসঙ্গ বামিয়ান
রূপাই-এর ভালোবাসা বুকে ধরে ক্লান্ত পৃথিবী
আজও বয়ে নিয়ে যায় নক্সীকাঁথা বিদিশার পথে
রাতবাঁশি গেয়ে ফেরে ব্রজবুলি সুরে – ছায়াপথ
জলপিস্ ডুব দেয় টুপুস্ কবিতার পাতায় পাতায়...
ভেসে ওঠো ভিজে ওঠো – সম্পূর্ণা!
আমাকে ভেজাও তুমি বিলাসকিশোরী
ও শিমূল! ও পলাশ!
তবে কি নদীও দোসর হয় মাধবী বেদনার...
--------------------------------------------------------------------
৮
আমার সে সাত ডিঙ্গা।।
- ইন্দ্রলেখা ভট্টাচার্য্য
জল তুমি রূপকথা, জল তুমি ছলনা !
কোথা নিলে সাত-ডিঙা,পাষাণী গো, বলোনা??!
কোন স্রোতে ভাসিয়েছো ডিঙা মোর সাতখান??!
লুকিয়েছো কলতানে কত সে উপাখ্যান??!
রাত তুমি মায়াবিনী, রাত তুমি কুহেলী ;
আলেয়ার আলোমাখা, ছায়াময়ী পহেলী!
রাত করো জাদু-টোনা, জাদুকরী ললনা,
সাত ডিঙা কবে খেলে, কোথা খেলে বলোনা??!
কুল তুই রাক্ষসী, কূল তুই ডোবালি!
দিলি রে সাত রতন কোন সে চোরাবালি?!!
আমার সে ডিঙা-সাত হারিয়েছি কোন চর?!!
আজো হায় খুঁজে ফিরি বন্দর বন্দর!!
--------------------------------------------------------------------
৯
বকুল ফুলের মালা
- আসিফ আন্দালিব
বকুল ফুলের মালা নিবেন নিকি?
বলছে বালিকা দুপুরের রোদ মেখে।
বাঁচার জন্য লড়াই করা শিখি
আজকে একটা বালিকার কাছ থেকে।।
খালি পায়ে পিচ-ঢালা এই পথে
সে বালিকাটা হাঁটছে কোনোমতে
একটা ছেলেকে করছে সাধাসাধি
একটা নেন না, একটা দিন না রেখে।।
কে রাখে তার ছোট জীবনে কত
দুঃখ এলো গেলো তার খবর?
হয়তো তার দুঃসহ জীবনে
কত না হাসির হয়েছে কবর।
হয়তো তার চোখ স্বপ্নে ভরা
করবে সে ইস্কুলে লেখাপড়া
একদিন সে হবে প্রধাণমন্ত্রী
ভালোবাসতে লোকে শিখবে তাকে দেখে।।
--------------------------------------------------------------------
১০
নৈশব্দের ভাঁজে ভাঁজে
- অর্বাচীন স্বজন
চিন্তাসকল অসহায় হয়ে মুখ থুবড়ে থাকে
শেলফের বইগুলো তাকিয়ে থাকে অপলক
পুরনো গিটারখানা চলে যায় ধূলোর আড়ালে
আমি পড়ে থাকি নির্জীব।
কতটা পথ হেঁটেছি?
লিখেছি কয়টি কবিতা?
গেয়েছি কয়টি বেসুরো গান?
কিছুই আর স্মৃতিতে নেই।
সব মিশে গেছে বাতাসে
কিংবা ফানুস হয়ে উড়ে গেছে আকাশে।
বাগানের সব গোলাপ গেছে ঝরে
বৈঠা বিহীন নৌকা কোথায় গেছে চলে!
জগতটা বড্ড অলীক আর আগোছালো
একটি একটি দৃশ্য মগজে জমা রাখি
আর হেটে চলি পথ নামক ক্যানভাসে।
--------------------------------------------------------------------
১১
দহনকাল
- চন্দ্রশেখর
তুমি যখন ডাঙ্গার উপর ভিজছ
আমি তখন কোমর জলে পুড়ছি
তুমি যখন বহুতলে উড়ছ
বস্তি ঘরে আমি সাঁতার কাটছি।
সময় যখন তরতরিয়ে ছুটছে
স্তব্ধ মোটর-রেল বা বিমানযাত্রা
প্রতিবিম্বে নখের আঁচড় কাটছি
শূণ্যে ঝুলছি, হারিয়ে যাচ্ছে মাত্রা
এখন তুম কোমর-জল পুড়ছ
অগ্নিপথের রথে সওয়ার ভিজছি
দহনকালের এই তো জীবনযাত্রা
আমরা সবাই একই সঙ্গে জ্বলছি
--------------------------------------------------------------------
১২
তেত্রিশ বছর আগে
- মুজিবুর রহমান মুনীর
তেত্রিশ বছর আগে
সেই কূল বিনাশিনী জলকন্যা হায়
তাঁর সর্বগ্রাসী থাবায়-
আমাদের আরেকবার করে গ্রাম ছাড়া
আমরা অন্য গাঁয়ে গিয়ে উঠি।
গর্ত ভাঙা প্রাণীর মত আমাদের জীবন ধারা
বেঁচে থাকার সম্বল শুধু বিধাতা আর হাট দু’টি।
বর্ষার পানি বন্দী জড়ো করা ঘরের কোণায়
সাপ-জোঁক পোকা-মাকড় অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে
অর্ধাহার- অনাহারে আমরাও পড়ে থাকি।
কখন জাগবে পায়ে হাঁটা পথ- মাঠের মাটি
কাস্তে কোদাল ক্ষুধার সাথে আবার লড়বো মোরা
অঝোর আলো ঝরা সেই সূর্য ওপেক্ষায়-
ঘোর অমানিশা আকাশ চেয়ে থাকি।
অনেক দিন পর একদিন
পূবের হিজল ডালে দোয়েলের শিস
ঘুমভাঙা পাখির ডানা ঝাড়া শব্দ
মাঠ থেকে বয়ে আসা ধানের গন্ধ
আমাদের স্যাঁতস্যাঁতে ঘরের মেঝ ছুঁয়ে
ছড়ায় পাড়ার বাতাসে।
আমরা জেগে উঠি-
বিছানা ছেড়ে বাইরে তাকাই
ভোরের বাতাস মাঠ ও ধানের ডাক শুনি
এতদিনের দুর্বল দেহে নতুন শক্তি খুঁজে পাই।
তারপর সারা মাঠ সারা গাঁ সারা মাস
ধান কাটা ধান মাড়াইয়ে উৎসব
উনুনের পাশে কিষাণীর কাটে সারা রাত
ভোরের আলোয় গৃহস্তের দুয়ারে দুখিনীর মেলে
স্বপন দ্যাখা বাসন ভরা পানি ভাত।
কৃষকের কাস্তে কোদাল লাঙলে
জেগে ওঠা জমিতে নতুন আবাদ।
আর আমরা যারা দুঃখী শিশু-কিশোর-কিশোরী
বৃদ্ধা বনিতা কুড়ানীর দল
মহোৎসবে কুড়িয়ে ফিরি স্বপ্নের সোনার ধান
লুকিয়ে রেখেছিল যা আমাদের তরে মাঠের কাদা-জল।
আমি যা কুড়িয়ে আনি
তা নিয়েই মা কাটান ব্যস্ত সারা দিন
এখানে শুকায় ওখানে শুকায় ঘেটে ছেঁটে চিটে সরায়
পৃথক করে যে ক’টি শালিন।
ঘট পট-পাত্র ভরে, স্বপ্ন দ্যাখে
তাঁর বেড়ে ওঠা খোকার কর্মী হাত দুঃখ ঘোচার দিন।
সত্যিই সেই মাঠ, সেই কৃষক, কুড়ানীর দল
মানুষে মানুষে, মানুষে মাটিতে নিখাঁত ভালোবাসা
যে ছবি যে খুবি দেখেছি সেদিন
তা আর এখন তেমন কোথাও মেলে না শারমীন!
--------------------------------------------------------------------
১৩
তারপর হাওয়া
- সুশীল রায়
সারারাত শুয়েছিলাম তোমার সঙ্গে
সারারাত.........
শয্যা বলতেও শুধু আমি আর তুমি
আকাশের মহাকাব্য তারারাও বাহূল্য তখন
-এতো আকাশ আর নক্ষত্র তখন আমাদের প্রাণে!
আমরা তখন নির্বিকার,
মগ্ন;
থেকে থেকে কখনও বাউল সুর;
ভাটিয়ালি
অথবা লালন...
গান গেয়েছি অফুরন্ত
গান তুলেছি শরীর জুড়ে
গান ভরেছি অন্তরে,ইন্দ্রিয়ে।
অপরূপ আলো সেই গানে গানে নেচে উঠেছিল...
পৃথিবীর মানচিত্র ক্রমাগত ভেঙে যাচ্ছিল...
পাহাড়ের হিমবাহ অস্থির মেঘের সাথে সাথে
গলনাঙ্কে নামতে পারছিল না।
তারপর.........
অতঃপর.........
শেষে..........
ভোরের আলোর সাথে হাওয়া হয়ে দূরে চলে গেলে...
--------------------------------------------------------------------
১৪
স্রোতের বিপরীতে যেতে
- রোদের ছায়া
নাহয় আজ কিছু হয়ে যাক ক্ষতি
টানাটানি সময়ে পড়ে যাক টান
নির্জন প্রান্তরে বসে পাশাপাশি
হয়ে যাক খানিকটা স্মৃতি সুধা পান ।
হোক ভুল আজ কিছু সংসারি কাজে
ঠিক কথা রেখে শুধু কথা হবে বাজে
অনেক না বলা কথা আজ হয়ে যাক
তুমি যদিও নাও থাকো ছায়াটুকু থাক।
ভালো হয় হয়ে গেলে সন্ধ্যা বা রাত
হারানো স্মৃতিটুকু শুধু পড়ে থাক
বাক হারা হয়ে থাক কথা আর গান
থাকো তুমি সব ভুলে সব পিছুটান।
--------------------------------------------------------------------
১৫
আগুন লাগিয়েছে দীঘির মাঝারে
- অরুন কারফা
আগুন লাগিয়েছে দীঘির মাঝারে
এ কোন তাণ্ডব নৃত্য
ফাগুণ শিহরিয়ে কাঁপে অন্তরে
দেখে শতদলের চিত্ত।
নিমেষে নিমেষে উন্মাদনা এসে
তুলছে যে শিখা ঊর্ধ্ব পানে
কোয়েল ডাকলেও ঝাঁকে ঝাঁকে শাখে
তবুও কমেনে তা পরিমানে।
হয়ত চলত এমনি ভাবে তা
অষ্ট প্রহর
সাঁঝ সকাল দিনরাত্তি,
যদি না আগত প্রণয়ে মত্ত
কৃষ্ণ ভ্রমর
কেড়ে নিত যতন আত্তি।
পুঞ্জ পুঞ্জ ঘনিয়ে এসে কালো
মেঘের মত
তারা
গুঞ্জনে ছড়াল শান্তির বাণী,
শতদলের পরে ঢেলে সরোবরে
দিল অমৃত
ধারা
চিত্তের গভীরে তৃপ্তিরে আনি।
--------------------------------------------------------------------
১৬
বুলগাক পুর
- শান্ত
অদ্ভুদ উজবুক গুলো চলছে দেশের পরে
অসহায় মানুষ গুলি আতঙ্ক লয় শিরে তুলি
উজবুক রয় রাজপ্রাসাদে, আমজনতা মরে।
আর কত কাল চলবে এমন উজবুকের'ই শাসন?
ভাঙ্গবে কবে আমাদের ঘুম সত্য-ন্যায়ের পড়বে যে ধুম
উজবুক কবে মাজবে ঘরের এঁটো থালা-বাসন।
এমন করে আসলে'ই কি যায় গো বন্ধু বাঁচা?
সোঁনার হাঁসটি যার হাতে যায় সে ই চিবে আন্ডা'টা খায়
দেশমাতৃকা গুমড়ে কাঁদে রয় পড়ে গো খাঁচা।
রাজদন্ড'টা যার হাতে দেই চুড়ির শব্দ বাজে তারই হাতে
আমড়া গাছে ধরায় বেল জোলায় বেচে শর্ষের তেল
কেমন করে শান্তির ভাত আসবে বল পাতে?
চায়না পুতুল সুশিল সমাজ, চাপলে বলে কথা
দৌড়ের আগে, মাইরের পিছে কালক্ষেপন মিছে মিছে
আর কত কাল সইতে হবে বিষফোড়ার'ই ব্যাথা?
--------------------------------------------------------------------
১৭
রোজই আসে পাখিটি
- নাদনে কুচেঅভা
রোজই আসে পাখিটি-আমার জানালার
কিছুদূরে পোঁতা বাশেঁর খুটির শীর্ষে
বসে থাকে নীরবে ।
আটটা , সোয়া আটটা আটের ভেতরে
ছিলো তার আনাগোনা প্রত্যূষে
আজ দেখি অনেক ভোরের মাঝে
এখনও প্রাত:কাজ সব সারা হয়নি
জানি সময় হয়নি তার এখনও আসার
ঠিক সেই লেজ ঝোলা কালো পাখিটি
আমার দিকে তাকিয়ে :
অনেক ভুল বোঝা সকালের পরে
কুয়াশা পড়েছে আজ চারিদিকে
সেই আনমনা সুশ্রী ষোড়ষীর মুখ
তাই অষ্পষ্ট দূর হতে ।
কতদিন জোরে জোরে কাশ দিয়েছি
তবু তাঁর ভাঙ্গেনি ধ্যন-
দূর পুকুরের ঘাটে ছাইয়ের আধারে
হাত দেয় আবার পাতিলের গলা ভালোবাসে
আমিও তাকিয়ে রয়েছি :
যেন সদৃশ পথের যাত্রী
নির্বাক আখিঁ তবুও বলে, '' তুই ও কি
কুয়াশার প্রেম পিয়াসী ? ''
--------------------------------------------------------------------
১৮
ইচ্ছাপূরণ
- অহনা
এক টুকরো আকাশ এনে দিতে পার কি ?
যেখানে সকালের কাঁচা মিঠে রোদ
করবে না কেউ চুরি ।
সন্ধ্যা হলেই সেই আকাশের একটি কোণে
চুপটি করে বসবে এসে
চাঁদের চরকা কাটা বুড়ি।
রাত বাড়লেই ঝরবে যে প্রেম
জ্যোৎস্না হয়ে পরবে যে টুপটাপ ,
দুহাত ভরে ধরব সে প্রেম
মাখব গায়ে হবে না কথা
থাকব যে চুপচাপ!
তুলতে পার কি একখানি ঢেউ
বেডকভার এর ডানদিকের ওই
ছোট্ট সাগরটায়?
যেই ঢেউএ মন উথাল পাথাল
মন খেয়াটাও তেমনি মাতাল
তরঙ্গ তার গায়!
ফোটাও দেখি পর্দার ওই বাগান জুড়ে
হাসতে থাকা হাজার লাল গোলাপ
প্রতিটি যার সঙ্গি হবে তোমার আমার
জ্যান্ত প্রেমের,মুছবে সকল পাপ!
--------------------------------------------------------------------
১৯
দুই
- দীপঙ্কর
১
উন্মত্ত জীবন সব সমুদ্রের মাঝে; নেশায় মশগুল
হৃদয়, অবাস্তব স্বপ্ন দ্যাখে । তবুও
রাত পোহালে ভোর, কিছু আটকে থাকে নিঃশ্বাসে ।
বাতাবি লেবুর গন্ধে মোতাত সব পাখি, আকাশে ।
জাহাজ বোঝাই করে মেয়ে আসবে, সব পুরুষের জন্য
তাদের লালসায় মারণ বিষ যত;
মেশায় সাগরের জলে । নোনতা স্বাদে ভারে
যাদের চোখের জল, তারা সব রেলিঙের ধারে
একাকী বকের ডানায় চোখ রেখে
কুপিত স্বপ্নে বাস করে । চুপচাপ
কোন এক শিশু, সবুজ দ্বীপের স্বপনে
সাদা ঘোড়া ছুটিয়ে চলে, রূপকথা কথনে ।
এখনও চলে বেচাকেনা নারী শরীরের,
ভাঙা হাটে রয়ে যায় শুধু,
কান্না হারানো সরমের শেষ বাচার ইচ্ছে;
জহ্লাদের হাতে ওঠা নামা দরদাম, সব ইচ্ছে ।
২
ইচ্ছে ছিল, তোমার আচলের বালি হব;
সে দিনও, তোমার পাশে হাটতে হাটতে
ভেবেছি এই কথা । বিকেলের রোদে,
তোমার ছায়া জলে, ভাসমান রূপকথা বলে।
নদীর চরে, দুহাতে বালি খুড়ে
খুঁজে পাওয়া তোমাকে। দূরে কথাও
মাঝ নদীর নৌকা থেকে, বালি ভেঙে
হেটে আসা আলো, ধিকিধিকি জ্বলে ।
এক ঝাঁক পাখি, ফিরে চলে পুরাতন
আকাশের খোঁজে; দূর নীলে হারিয়ে গেলেও
ভালোবাসার স্মৃতি সব রয়ে যায়, একাকী
সুখ খুঁজে চলা, স্মৃতি-হারা বালুচরে ।
সূর্য ডোবার পালা শেষে, সাঝতারা
বলে দেয় বাড়ি ফেরার পালা । শরীরের
ঘামে লেগে থাকা দুই চারটে বালি কণা
সাথী হয়ে ফেরে; আমার খেলাঘরে ।
--------------------------------------------------------------------
২০
এরকমই কথা ছিল
- বিনন্দ কুণ্ডু
সমস্ত দিন আজ শুধুই
তাপ দেয়।
মাটির তলা...
গাছের বাকল...
পিঁপড়ের গা...সবকিছু থেকেই।
বৃষ্টি হলেও গাছেরা আজকাল
শুকিয়ে যায়।
তুমি-আমি বিদ্রোহী হলে
শুধু এসব পাল্টে যেত।।
পৃথিবী তার আদিগন্ত থেকে
স্নিগ্ধতা শুষে খেত...
--------------------------------------------------------------------
২১
আত্মার মিলন
- খান
বুকের ভিতর মুখ লুকিয়ে দেখছো কি?
এমন করে হৃদয় মাঝে খুজছো কি?
এখন তুমি ভাবছো কি?
সাগর সম হৃদয় জলে
ডুবে তুমি খুজছো কি?
মনি মুক্তা আছে কিনা
খুজে তুমি পাচ্ছো কি?
বুকের ভিতর মুখ লুকিয়ে দেখছো কি?
এমন করে হৃদয় মাঝে খুজছো কি?
কাঁপন জাগা হৃদয় মাঝের ছবিটি
চোখের কোনে ভেসে ওঠা
কল্পলোকের তরুটি
বুকের ভিতর মুখ লুকিয়ে দেখছো কি?
এমন করে হৃদয় মাঝে খুজছো কি?
এখন শাখে শাখে পল্লবের বাহারে
মন ছুটে যায় তেপান্তরে আহারে
মেঘের ভেলায় পাল তুলে দেই
বাঁধ না মানা গতিহারা পথ ধরে
যৌবন জোয়ার এলে পরে
জ্ঞান থাকে শূন্যের ঘরে
চোখের উপর চোখ রেখে
খুজে তুমি বাহির কর
কেবল দুই আত্মাতে মিলন
তোমার আছে কি?
বুকের ভিতর মুখ লুকিয়ে দেখছো কি?
এমন করে হৃদয় মাঝে খুজছো কি?
--------------------------------------------------------------------
২২
বিহ্বলতা
- আহম্মেদ রফিক
কোন শোক নেই তাপ নেই
বিহ্বলতা টাঙিয়ে দিয়েছি ছাদে
তোমাদের পতাকার মত আমার বিহ্বলতা উড়ে
নিঃশব্দে ঘরে ফেরা অপরাধী আমি যাই চুপসে
প্রতিদিন কষ্ট
মরমী বলে ডেকেছিলে কোনদিনে
সেই মুখখানি ভাসে
আড়ালে সেই তার ছেড়া দোতারা হাতে
ভঙ্গিমা করি বাউলের
আসল বাউল কবেই গেছে চলে
ভাবের মাঝেও ভীষণ শুন্যতা
সমান বলে নেই কোন কিছু
কেউ সামনে কেউবা চলেছে পিছু
কোন উচ্চারণ নেই
বিহ্বল হয়ে যাই সুদৃশ্য চাপাতির কোপে
--------------------------------------------------------------------
২৩
সুখ
- সরকার মুনীর
আত্মহননের মতো তীব্র সুখ যেন ভাসায় আমাকে
কবিতা আসরের সুখের বাসরে আমি
তৃপ্তি পান করে যাই আকন্ঠ ।
নতুনের সাথে দেখা , অচেনার সাথে মিতালী
ভার্চুয়াল জালে বাঁধা পড়ে যায় মন
ভালোবাসার উদ্বায়ী কণারা মেঘ হয়ে জমে
আর যেন প্রতিদিন ঝরে ভালোলাগার বর্ষন হয়ে
ভিজে যাই সুখে-
খরাপীড়িত জমিন যেমন সাগ্রহে টেনে নেয় বৃষ্টিকণা।
আমার কাব্য সন্তানেরা সেজেগুজে আসরে যায়
পাঠকপ্রিয়তা পেলে হাসি মুখে নেচে যায়
আমি ভুলে যাই ভাবধারনের কষ্ট
ভুলে যাই স্বপ্ন প্রসবের যন্ত্রনা।
এতো সুখে অভ্যস্ত নই আমি
তাই যদি দেখ আর নেই আমি এখানে
জেনো, সুখের অসুখেই মারা গেছি আমি
আত্মহননের মত তীব্র সুখ ঘিরেছিলো আমায়।
--------------------------------------------------------------------
২৪
প্রেমের সায়রী (৪১ - ৪৫)
- মুস্তাফা গোলাম
সায়েরী-৪১
লীন হবে কি আমার বুকে, লক্ষ জনার জনসভায়!
দেবে কি হে আলতো চুমু, আমার চিবুক তোমার গ্রীবায়!
প্রেমের ভারে ফেলবে ‘কি হে’, বুকভরা শ্বাস, এক ফোঁটা জল?
লাজের মিকি টিকলি যেদিন মুছবে সেদিন পাবে আমায়!
সায়েরী-৪২
নিদ্ ভাঙুক না পরীর দেশে ‘পরী রাণী’ মোর পদ্সেবায়!
‘বিবেক’ ছাড়ি আমার কাছে আসুক না হয় ‘অ্যাঁশ এ্যা রায়’!
আজ রাতেতে সজ্জাসঙ্গী থাক্ না ‘সেলেব-রাব্বণিতা’-
রতি সুখের প্রাসাদ ঘরেও প্রাণ কেনো যে তোমায় চায়!
সায়েরী-৪৩
মনের জানলা ভিজ্য়ে রেখে, করছো কেনো দেহের পূঁজা?
দুখীর বদন অশ্রু ঘৃণে ‘তার বুকে কেন কাবা খোঁজা?
হায়রে, অবোধ! আকাশ-গাঙে তারা জ্বলে মিটিমিটি!
গণের দাবী উল্টে রেখে, কেমনে হবি শাসক রাজা?
সায়েরী-৪৪
প্রেমের দাবী করিস্ নে আর, রে মুসাফির বিরাম শেষে।
‘দমকা হাওয়া’ উড়য়ে নিয়ে যায় কবে যে অচিন দেশে!
দুদণ্ডেরই স্বপ্ন মায়া, আরেক স্বপ্নের স্বপন নাও এ-
সবচে’ ভাল, কাটাস্ যদি বিরাম হেথায় মায়ার রেশে!
সায়রী-৪৫
রূপের প্রভা নিভবে যেদিন, হবে শীর্ণ অশীতিপর!
তখন আমি তোমার সাথে, চাইবো বাঁধতে ‘প্রেমের বাসর’।
প্রেম সেদিনি উথলে প্রাণে, করবে দেহে গলাগলি-
আজের প্রেম তো রূপের মোহ, হীরক নয় তা পথের কাঁকড়!
--------------------------------------------------------------------
২৫
তোমার জন্য পঙক্তিমালা
- হাদী রকিব
১
সুহৃদ খুঁজেছি,
তোমাকে পেয়েছি
মানুষের ভরা হাটে।
উতলা দুকূল
ফুটালাম ফুল
স্বপ্ন বুনেছি ঠোঁটে !
২
আমার নৌকা ডুবলে ডুবুক
তোমার নৌকা ভাসুক
তোমার কূলে সুখ থাকলে
এই কূলে ঝড় আসুক।
৩
যতই দেখি ততই বাড়ে
জ্বালা!
কার গলাতে পরাবি তুই
মালা!
৪
প্রেমের আলো ছড়িয়ে দিলাম
তোমার চারিদ্বারে।
তোমার ঘরে আমার প্রদীপ
আমি অন্ধকারে!
৫
মনের কুঁড়েঘরে
তুমি কেরোসিনের খুপি
ঘুমের হলুদ আলোয়
ভাসাও চুপিচুপি!
৬
মনে মনে যেমন সুরভী খুঁজি
তুমি আমার তেমন প্রিয় ফুল
আমার জলের সীমানা-পাড় নেই
তুমি আমার একটিমাত্র কূল!
৭
চুমুতে চুমুতে মাতাল হয়েছি মোটে
মরণ খুঁজেছি তোমার আগুন-ঠোঁটে!
৮
তোমার ভাবনা আমার সকল কাজে
মনের ভিতর দিরিম দিরিম বাজে!
৯
কষ্টগুলো লুকানো থাক
জানবেনা তা কেউ!
তোমার দিলাম সুখের নদী
আমি নিলাম ঢেউ !
১০
আমার চোখ পড়েনি ভুলে
তুমি কোথায় লুকিয়ে ছিলে
আমার মনের কোণে বাগান জুড়ে
গোলাপ হয়ে ছিলে
আমার চোখ পড়েনি ভুলে!
১১
ভুল করে প্রেমে পড়ি
ভুল করে কাঁদি
ভুল করা শেষ হলে
ফের ভুল করি!
১২
“ভালবাসি” বল তুমি
কাছে আসনা!
বুঝে গেছি ছল কর
ভালবাসনা !
১৩
ভুলে কি গিয়েছ আজ
রুপালী জোছনা-রাত!
ঘুরেছি দুজন কতো!
হাতে রেখে দুটি হাত!
১৪
তোমাকে দেখিনা
মন তো মানেনা
জ্বলে চোখ বহুদিন!
রাতে তারা জাগে
বড় একা লাগে
বুকে ব্যাথা চিনচিন!
১৫
তোমাকে ভাবছি
সারারাত সারাদিন!
চাইছি চলতে
বহুপথ সীমাহীন!
১৬
তোমাকে নিয়ে কেবল
অধরা স্বপ্ন আঁকি
কোমল গহীন বুকে
যতনে লুকিয়ে রাখি!
--------------------------------------------------------------------
২৬
জীবন
- রিপন গুণ
যা নেই তাকে জানব কেমন করে?
হেঁটে মুন্ড, উর্ধ পদ, পশ্চাতে ফেরানো মুখ
পশ্চাত্গামী আলোকবার্তা মহাকাশ জুড়ে
যে তারার আলো তুমি আজ দেখেছ-
সেও এতদিনে মৃত ।
যে মুখোশ হাসিয়েছে লোক
সেও আজ অনাবৃত,
আবরণ আর আভরণ যত করেছিলে আহরণ
নোনা সমুদ্র ভাসিয়েছে সব, একা কাঁপে ঝাউবন,
ফসফার আলো ফুঁড়ে যায় চোখ, চুপ ঘুমে গাঁথা রাত
জাননা কি তুমি জীবন আসলে....স্থির নিশ্চয়ে
মৃত্যুতে মার্চ পাস্ট ।
বিষন্ন সমায়াবলী
পুঁথি যত থরে থরে, সাজিয়ে রেখেছি ঘরে
আগুন দিয়েছি তার পরে,
তবুও, সঞ্চিত চিঠি কিছু পরেছিল
সংগোপনে, স্মৃতিকোনে,
অবিশ্রাম শ্রাবনধারা, গান সব হলো সারা
ঘরে ফিরে গেল তারা ।
নিশ্চিত ঘর কি আছে মহাকাশে?
পুঞ্জ পুঞ্জ নিহারিকা, ছায়াপথ দিক হারা
খসে পরে মৃত তারা -
ধুলোয় বিবর্ণ ছবি,
বন্দী ফ্রেমে বিশ্বকবি ।
নদীতে বিবর্ণ মালা নিরাসক্ত ভাসে
জীবন মৃত্যুতে ঘেরা এক টুকরো উপত্যকা,
দুদন্ডের জ্যোতি, ক্ষনিকের ভালবাসা -
মুহুর্তের অন্তরালে, উর্ণনাভের জালে
আলোকিত অন্ধকারে -
খুঁজে ফেরে বাসা ।
--------------------------------------------------------------------
২৭
বসন্তের বাতাস
- ওমর ফারুক
মন ছল ছল্, সবকিছু উথাল-পথাল
কি জানি এক নেশা আমাকে আজ করেছে মাতাল।
কি যে করি হায়! পাই না খুজে কোন উপায়
এ যে ভীষণ প্রেমময়, বারবার হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়।
মন ছল ছল্, সবকিছু উথাল-পাথাল
করি কি এখন হায়!
ওহে প্রেমময় লীলা, বুঝি না তোমার এ প্রেম খেলা
তোমার ঐ কোমল পরশ, মাতিয়ে তোলে আমায় সারাবেলা।
আমিও যে নেশাখোর এক পাকা খেলোয়াড়
আকড়ে ধরতে চাই, ঐ নরম কোমল দোলীত অঙ্গখানি তোমার।
আজ এ পরবেলায় কি রুপ দেখালে আমায়
আমি যে জ্বলে-পুড়ে মরছি হায়! তোমার ঐ রুপের নেশায়।
মন ছল ছল্, সবকিছু উথাল-পাথাল
করি কি এখন হায়!
ওহে মায়াময়, তুমি সত্যিই অপরাজেয়
আমি মুগ্ধ তোমার স্পর্শ আর অবয়বের দোলায়।
পরাজয় আমি তোমার এ প্রেম প্রেম খেলয়
আমি যে প্রচন্ড ভালবাসি তোমায়, তুমিও বাস আমায়।
তুমিতো দিয়েছ সবই, মিশিয়েছ নিঃস্বাসে নিঃস্বাস
জানে প্রকৃতির গাছ-পালা আর জানে ঐ নীল আকাশ
প্রেমময় মোহিনী তুমি, হে বসন্তের বাতাস।
--------------------------------------------------------------------
২৮
ঠোঁট চাপি সহে যন্ত্রণা
- সাইদুর রহমান
ঐ শূন্যাকাশে উড়ছিল কতক পাখি
বক শালিক, কাক চিল;
এখানে শুধুই ওড়ে রাশি রাশি বালি
এ যেন মরু, নেই কোন খাল বিল।
প্রচন্ড উত্তাপে পাখিসব হয়ে কাবু
পড়ে নীচে, কাঁদে পিপাসায়;
কাতরায় ঠিক যেন মানুষের মত
কোথায় পাবে জল, ধরিত্রী অসহায়।
সেদিন দেখি মানব একটি, আছে পড়ে
ঐ রাজপথে উপুড় হয়ে;
মুখেতে ফেনা, কারো তবে নেই ভ্রুক্ষেপ
কর্মব্যস্ত রয় সবাই, নিজেকে নিয়ে।
সবুজ পল্লব বয়সে বিবর্ণ হলে
ঝড়ের প্রতাপে পড়ে ঝরে;
আর দুমড়ে পড়ে এই মাটির বুকে
হয় উচ্ছিষ্ট, বাতাসও তাই তাড়া করে।
কোথায় যাবে শেষে, এসব ভাগ্যহত
বুকে নিতে না এলো কেউ;
জ্বালা যন্ত্রণায় দগ্ধ মৃত, যাবে কই
এদের সৎকার করে, নেই যে কেউ।
ধরিত্রী করে ধারণ লালন পোষণ
সময়ে সবি আবর্জনা;
এ যেন ধরিত্রীরই ভীষণ দায়
করে সৎকার, ঠোঁট চাপি সহে যন্ত্রণা।
--------------------------------------------------------------------
২৯
কিছু নীল কষ্ট
- সালমান মাহফুজ
যেদিন এ হৃদয়ের পাশে সুবর্ণ আলো ছড়িয়ে
হেসে উঠেছিলে তুমি প্রভাতী সূর্যের মত -
জীবনের পাতা থেকে এক নিমেষেই
মুছে গেল সব কষ্টের কালিমা;
শিশিরসিক্ত সবুজ ঘাসে
ঘমিয়ে থাকা প্রজাপতির মত
একটি ঘুমন্ত স্বপ্ন জাগতে চাইল
তোমার নরম স্পর্শে- অনেক বছর আগে
যে ঘুমিয়ে পড়েছিল কাক-ডাকা পড়ন্ত বিকেলে ।
আজ হৃদয়ের পাশে খেলা করে কিছু নীল কষ্ট,
মাঝে মাঝে অশ্রু হয়ে তারা নেমে আসে ঠোঁটে-
পেতে চায় ভেতরের রসনার স্পর্শ ;
আমি হাত দিয়ে মুছে ফেলি সেই অশ্রু,
কেননা, তোমার ভালোবাসা
আমায় কষ্টকে লালন করতে
শিখায় নি ,
শিখিয়েছে - কীভাবে কষ্টকে
জয় করা যায়।
--------------------------------------------------------------------
৩০
নিজের সাথে বোঝাপড়া
- বাবু আসাদ
আমার ভালোবাসার সমস্ত আকাশ জুড়েই তুমি
সত্যি বলছি মেয়ে
আমি তোমাকে ভালোবাসি
যেমন তেমন ভাবেই ভালোবাসি
সত্যি বলছি কোন গালগল্প
বা মিথ্যে প্রলাপ নয়
এই যে আমি আজ এত কষ্ট পাচ্ছি
সারারাত জেগে থাকি
দু'চোখে ঘুম নেই
কল্পনার বাহুডোরে বাঁধা শুধু তুমি।
কেন যে তোমাকে ভালোবাসতে গেলাম
ওহ! প্রতিটা মুহুর্তে কি যে যন্ত্রণা
কি যে ঝড় তুলো তুমি এ মনে!
বিশ্বাস কর, তোমার কথা বলা,
পথ চলা,
ওই দু চোখের চাহনি,
নুপুর পরা পা দুটি,
তোমার তর্জনি,কনিষ্টা,
অনামিকা আঙুল গুলো,
তোমার সুউচ্চ গ্রীবা,
তুমি এবং তোমার সব সবকিছুই ভালোবাসি
সত্যি বলছি খুবই ভালোবাসি।
নাহ! কেন যে তোমায় ভালোবাসতে গেলাম
আজ পুড়তে হচ্ছে সেই পোড়ামুখো ভালোবাসায়
কি করে বুঝাই তোমাকে, তোমার নামটি
সব স্নিগ্ধ ভাল লাগার সাথে মুখ ফস্কে বেড়িয়ে আসে,
আমার আকুতি গুলো তোমায় কি ভাবায় না বল?
কতদিন তোমার সামনে নিজেকে
স্বাভাবিক রেখেছি
এতটুকু বুঝতে দেই নি
কত যে ভালোবাসি তোমায়
কতবার নিজেকে সামলে নিয়েছি
কিন্তু কি যে হল এতদূরে এসে
আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না
মুখে বলতে পারি নি বলে এসএমএস করলাম
ভুল করছি জেনেও
বিষপান করলাম
শেষ রক্ষা হল না।
তুমি এত হিসেবি কি করে হলে বলত
আমার ভালবাসাকে
শ্রদ্ধা জানাতে এতটুকু কার্পণ্য করলে না,
আবার বুঝিয়ে দিলে
এ হবার নয়
তুমি এত এডাল্ট, এত ম্যাচুর্ট!
অত:পর রিকুয়েষ্ট যেন
ফোন বা
এসএমএস না করি।
তোমার সবকিছু মেনে নিয়েছি অকপটে,
এটাতো আমার
নিজের সাথে নিজেরই বোঝাপড়া।
এরপরেও নির্লজের মত কথা বলতে ইচ্ছে করে
জানতে ইচ্ছে করে কেমন আছ তুমি?
তোমার ব্লাক লিষ্টে আটকে রাখা
আমার নাম্বার বুঝতেই দেয়না
কোন এক পাগল
ডায়াল করছে তোমায়.....।
তুমি কি সত্যি বুঝনা?
নাকি আমায় এখন আর সহ্য করতে পার না?
বড্ড ইচ্ছে করে, এবার বৈশাখে একটা
লাল সবুজের শাড়ি পাঠাব তোমার ঠিকানায়,
আবার ভয় হয় যদি ছুঁড়ে দাও!
তারচেয়ে তুমি আমার
ছন্দহীন কবিতা হয়ে থাক
সেখান থেকেই
আমার মিম কে
আমি খুঁজে নেব যত্ন করে
আর চাইব তুমি শুধু ভাল থাক সবসময়।
পারলে মাঝ রাতে হলেও
আমার দরোজায় কড়াঘাত করো প্লিজ,
আমি যে অপেক্ষায় আছি তোমার... থাকব.....।
--------------------------------------------------------------------
৩১
রঙ-বেরঙ
- মোজাম্মেল হক(মন)
লালে লাল অস্তকর,
নীল নীল নীলাম্বর,
হলুদাভ প্রভাকর,
কালো ভালো রাত ভর!
সাদা সাদা বরফকুজ্ঞ,
অতি লাল কৃষ্ণকুন্জ্ঞ,
নীলাকাশে পক্ষীপুন্জ্ঞ,
বধূ বরে গৃহকুন্জ্ঞ!
নীল ঐ অসীম রঙ,
কত রঙে সাজে সঙ,
লাল ঠোঁটে খুকুর ঢঙ,
বাজিছে ঘন্টা ঢঙ,ঢঙ,ঢঙ!
জীবন বেলা শেষ,
সব রঙের সমাবেশ,
কেহ বলে বেশ,বেশ,
কেহ বলে সবশেষ!
--------------------------------------------------------------------
৩২
চরম এক বিবর্তনের প্রেমে ....
- সুদীপ তন্তুবায় (নীল)
আজ চক্ষু মেলেছি হঠাৎই !
এ কি দেখি আমি -
জীর্ণ সমীরণ, নিঃসঙ্গ নীলশূন্য
অজানা অন্তরালে বিহগেরা যেন তন্দ্রিত!
চাষা যায় না মাঠে
ভাঙে না মাটি হালের ফালে,
স্তুপীকৃত রাশি রাশি বালি, প্রস্তর
মাটির হৃদয়ে ।
রাখাল বাঁশিটি হারিয়ে ফেলেছে
তাল-পলাশের বাগিচায়,
হয়তো পড়ে আছে কোনো
আলের পাশে ।
গ্রাম্য বধূর ঘাটে নাইতে যাওয়া
আর হয় না,
সে সরণির সংকীর্ণ রেখা
নিয়েছে বিদায় ।
দোলে না শরের বাগিচা,
প্রসূনহীন তরু যেন বড়ো অসহায় !
বলাকারা সব ফিরে গেছে
সেই কবেকার ইতিকা বেলায় !
আর আসেনি,
সন্ধ্যা ঝরেনি সডান থেকে ।
ফিরে আসেনি প্রান্তর থেকে
ধেনুর সারি দিবা অন্তিমে ।
সন্ধ্যাপ্রদীপ অন্ধকারে,
শঙ্খটিও কেও নিয়ে গেছে,
সে আর ফেরেনি ।
বিনিদ্র শশীরে বড়ো নিঃসঙ্গ
অসহায় লাগে ।
জানি না কোনো কবি বিনিদ্রতার
সুতোয় হৃদয় গেঁথেছে কি না !
- এ কী দেখি আজ !
বদলে গেছে সব ।
নিরবে অপসৃয় হয় রাত্রির আচ্ছাদন ।
ভেসে আসে আল্লাহ-র
মসজিদের নামাজ,
ভেসে আসে হরিমন্দিরের সংকীর্তন ।
অসহায়তার মাঝেও মিলেমিশে
এক হয়ে যায় দুই মসৃণ কোমল সুর ।
একটু পরেই দৃশ্যমান হবে
ভোরের আলো -
হয়তো, হয়তো .....................
--------------------------------------------------------------------
৩৩
তুমি ক্ষণিকের অতিথী আমার --
- সাগর কাজী
কুজ্ঝটিকায় ঢাকা শীতের ভোরে এসেছিলে তুমি ,
এসেছিলে তুমি অতিথী হয়ে ;
যেমনটা আসে অতিথী পাখি বনে বনে ,জলধীর তীরে ,জলে-স্থলে ।
তুমি এসেছিলে আমার আঁধার হিয়ায় ;
এসেছিলে ক্ষণিকের মায়া প্রদীপ নিয়ে ।
প্রজ্বলিত করেছো আমার অন্ধ হিয়া ,
সীমাহীন অম্বর যেন আমার হাতের নাগালে ,আমার সীমানায় ।
অচিরেই যেন পতিত হই ভালবাসা নামে এক গহীন গুহায় ।
কিন্তু ,ভুলে যাই তোমার চিরন্তন বৈশিষ্ট্য ,তোমার ধর্ম ;
কোন এক ঘনঘোর নিশীথিনীর ডাকে তুমি চলে গেলে আমার পৃথিবীর মায়া ছেড়ে ,
রেখে গেলে তোমার মায়া প্রদীপ ,
যা আমার অন্ধ অবলম্বন ,আমায় সান্তনার পথ দেখায় ।
আমি বাঁচি কেবলই আজ সান্তনায় ।
তুমি ক্ষনিকের অতিথী আমার ।।
--------------------------------------------------------------------
৩৪
আমিও না হয় একশ বছর ঘুমুবো
- নাজমুন নাহার
প্রিয় ধরে নিয়েছি
এই চিঠিটা তুমিই পাঠিয়েছ
দোয়েলের শিষে করে —–
আমার রুপোর বাক্সে আমি তুলে রেখেছি
চুলের কাঁটা , কানের দুল আর টিপের সাথে
এই টিপ সাক্ষী তোমার ভালবাসার
কেননা সে প্রজাপতির মত আমার কপালে বসেছিল
তুমি বসিয়েছিলে বলে ,
খোঁপার ঐ রুপোর কাঁটা সাক্ষী -
সে জেনেছিল কি করে
আমার চুলে সেজেগুজে বসে যেতে হয় -
আর তোমার চোখকে মুগ্ধ করে দিতে হয় -
আজ এই টিপ এই চুড়ি আর এই খোঁপার কাঁটা
একাকী রাত্রি যাপন করে
শুধু তুমি তুমি তুমি নেই বলে
চলে গিয়েছো
একশ বছর ঘুমাবে বলে
আমিও আমার মন আর শরীর তুলে রেখেছি
ঐ রূপোর বাস্কেটে
তোমার চিঠির সাথে থাকুক
আমিও না হয় একশ বছর ঘুমুবো ।
--------------------------------------------------------------------
৩৫
১২৫
- ডিজিটাল কবি (আরিফুর রহমান)
বয়স আমার ১২৫
বুঝে শুনে কথা বলিস।
১০০ হাত দুরে থাকিস
কথাটা খুব মাথায় রাখিস।
সব কিছু শোন আমি জানি
তুই আর কি কচু জানিস?
আমি যে এক মহাজ্ঞানী
এই কথা কি তুই মানিস?
হুম.........।।
হুক্কা হুয়া কেয়া মজা
আমি হলেম জ্ঞানে রাজা।
সব জ্ঞানই করি ভাঁজা।
চিবিয়ে ফেলি গজর গজা।
জ্ঞান সাগর পাড়ি দিয়ে
মহাসাগর এলাম ঘুরে।
আমার থেকে থাকিস দুরে
আমার বাসা অচীনপুরে।
ঐ খানেই মোর সিংহাসন
জ্ঞান-জগত করি শাসন।
ঐ খানে তোর বসতে বারণ
চাইবিনা আর জানতে কারণ।
জ্ঞানাকাশে বেড়াই উড়ে।
যাই চলে যাই বেজায় দুরে।
দুর পথের ঐ আকাশটারে
হাজার জ্ঞান দেই যে জুড়ে।
হাত দিয়ে মোর জ্ঞান ঝড়ে
চক্ষু দিয়ে জ্ঞান ঝড়ে।
নাকটা দিয়ে জ্ঞান ঝড়ে
মুখটা দিয়ে জ্ঞান ঝড়ে।
দাঁত দিয়েও জ্ঞান ঝড়ে
আকাশ পায়ে সেলাম করে।
তাই যা দুরে যা, দুরেই যারে,
আমি তোদের রাজা ওরে।
বয়স আমার ১২৫
তাই বুঝে শুনে কথা বলিস।
ঠিক আছে?
বুঝলি ?
হুম...।।
--------------------------------------------------------------------
৩৬
চুপ কর ..... ।
- তরুন তুর্কী
অনেক তো হল, এবার ক্ষ্যামা দেয় না !
এবার একটু থাম, আর পারছি না ।
কি শুরু করেছিস তোরা
সবকিছুতেই হামবড়া
আমরা কি আর গাধা-ঘোড়া ?
বল, পেয়েছিস কি তোরা ?
দেশটা কি তোদের বাবার কেনা,
আমরা কি সব খোকনসোনা,
যা ইচ্ছা তাই করবি,
যেমন তেমন বুঝিয়ে যাবি,
তোদের মতে মাথা নাড়ব,
তোদের না'তে না দোলাব,
এই কি ভেবেছিস তোরা ?
অবোধ-অবুঝ মূর্খ মোরা ?
ওরে, নষ্টের দল ওরে অভাগা,
বিবেকটারে এবার জাগা ;
আর কত সত্যি লুকিয়ে,
চামচামির সীমারেখা ছাড়িয়ে,
দলকানা হয়ে থাকবি ?
মিথ্যার জোরে গলা ফাটাবি ?
চুপ কর হারামজাদা,
ভীরু,কাপুরুষ,হতচ্ছাড়া-গাধা ।
অনেক তো বলেছিস, আমরা শুনেছি
তোর ভ্যাজর-ভ্যাজরে রাগে কেঁপেছি,
আর কত নীচে নামবি, -ওরে
কতকাল সত্যি, রাখবি বগলকরে ।
ইচ্ছে যত ইচ্ছে মত
ইনিয়ে-বিনিয়ে বললি কত,
সত্যি পেঁচিয়ে মিথ্যা ঘুরিয়ে,
রেগে-হেসে আপনাকে বাঁচিয়ে,
বলে চলেছিস প্রতারক-ভন্ডের দল,
এবার চুপ কর, লক্ষীছাড়া-চাটার দল ।
ভাগাড়ে গিয়ে মরগে তোরা,
শকুনও সেথায় দেবে না পারা,
অন্ধ তোরা, বধির তোরা, তোরা সুবিধাবাদী ।
তোরা নাকি সুশীল, সুজন ; আরও কি বুদ্ধিজীবি !
গোঁয়ারের মত গোঁয়ার্তুমিতে সিদ্ধহস্ত হয়ে,
অপরের কথা, অন্যের ব্যাথা কানে না নিয়ে,
আপনবুঝে আপন মতে আছিস তোরা
ভাবটা যেন, -তোরাই জানিস, তোরাই বুঝিস, তোরাই সেরা ।
তোদের এই প্যাচাল আর সহ্য হয় না !
তোদের এই বিবাদ-অভদ্র অপলাপ যন্ত্রনা,
আর যে নিতে পারছি না ।
ওরে চুপ কর ; থাম এবার, ক্ষ্যামা দেয় না !
--------------------------------------------------------------------
৩৭
বারোমাস্যা
- Saurav Goswami
যখন ,
হলুদ কলকে ফুলের মতন সকাল ,
পুকুরের নীল জলে ছায়া দেখে আর
স্থল পদ্ম বনের ঘুম ভাঙ্গে ;
তখন মনে হয় ,
আমার আরো একটা সকাল নষ্ট হল ।
ব্ ন্তচ্যুত স্বপ্ন সব ঝরে পড়ে ।
তবু ভাবি কোনদিন তুমি
আঁচলে কুড়িয়ে নেবে তা ভরে ।
ফড়িং এর ডানার মতো আশা
আমার পিছু ছাড়ে না ।
এরপর ,
যত বেলা বাড়ে
তত তুমি স্পষ্ট হও
তত আমি স্পষ্ট হই ,
এক দগ্ধ দিনের ক্যানভাসে ।
সেখানেতে ,
কোন মেঘ নেই
কোন জল নেই ।
সব জমিন রুখাশুখা ,
একটা প্রচণ্ড বাস্তবের মতো ।
--------------------------------------------------------------------
৩৮
ন্যায়ের কথা বল্
- কবীর হুমায়ূন
কান নিয়েছে চিলে,
খুঁজছে তাহা বিলে,
হাতটি দিয়ে দিখছিনা তা
যথাস্থানে আছে কি না
কানের স্থানে কান;
বলছে 'হুজুর' তাড়াতাড়ি
কান খুঁজে তুই আন।
ব্লগার সবাই নাস্তিক,
বলছে 'হুজুর'- আজ ঠিক,
ব্লগিং কি তা নাইবা বুঝি'
ব্লগার তারা যাচ্ছে খুঁজি
শাপলা চত্বর মাঝে;
জামাত-শিবির নেংটি খুলে
আসছে নতুন সাজে।
ধর্ম কথার ছলে,
স্বার্থ কথা বলে,
বাঙালিদের বউ-ঝিয়েরা
ঘরের ভেতর রইবে তারা
বন্দি জীবন একা;
রাত-দুপুরে তাদের সাথে
হইবে শুধু দেখা।
হায় রে পাগল! বেশ,
টানছে বাংলাদেশ,
মধ্যযুগের অন্ধকারে
নিয়ে যাবে স্বদেশটারে
বকধার্মিকের দল;
থাকতে সময় রুখে দাঁড়াও
ন্যায়ের কথা বল্।
--------------------------------------------------------------------
৩৯
১লা বৈশাখ
- এস কে আই আলী
১লা বৈশাখ
বাঙালির জাগে বাঙালি হবার শখ,
তারপর,
মনে থাকে না তারিখ, মাস, বছরটার ।
আধুনিকতা,
খেয়েছে সব বাঙালির মাথা ।
অফিসে,
ইজ্জত থাকে না বিশুদ্ধ বাংলা বললে ।
বাঙালি,
বাংলা ভুলে ছাড়ে বাংলিশ বুলি ।
যত অফিসার,
বাংলা ইংরেজি করে মিকছার,
অফিসের কাজ,
চালিয়ে যান ফেলে সরম, লাজ ।
আসে একুশ,
বেহুস বাঙালির হয় হুস ।
তারপর,
ঘুরে ফিরে সেই একই সমাচার ।
বৈশাখ ১লা,
ইলিশ মাছ, মরিচ পোড়া আর পান্তা ।
--------------------------------------------------------------------
৪০
শ্যামল পল্লী গাঁ
- ইব্রাহীম রাসেল
এ-আমার সেই শ্যামল পল্লী গাঁ
যার অবয়ব জুড়ে সবুজের মেলা,
শিশির স্নাত দুর্বাঘাসে
ঝিলিমিলি সোনালী রোদের খেলা।
এ-আমার সেই শ্যামল পল্লী গাঁ
কোল ঘেঁষে যার আঁকাবাঁকা
নদের সর্পিল জলধারা,
অবোধ শিশুর নগ্ন গায়ে
উদ্যাম সাঁতার কাটা।
এ-আমার সেই শ্যামল পল্লী গাঁ
কুয়াশার বুক চিড়ে লাঙ্গল কাঁধে
কৃষাণের মাঠে যাওয়া,
পান্তা-পানি হাতে গাঁয়ের বধুর
সর্পিল মেঠোপথে হাঁটা।
এ-আমার সেই শ্যামল পল্লী গাঁ
ভরা পূর্ণিমায় নদীর ঘাটে রাখালের সেই
ঘুম কাড়া বাঁশির তান,
মাঝির কণ্ঠে গলা ছেড়ে গাওয়া
কী সেই ভাটিয়ালী গান!
এ-আমার সেই শ্যামল পল্লী গাঁ
যার অবয়ব জুড়ে প্রকৃতির মেলা।
--------------------------------------------------------------------
৪১
পত্রখানি
- শাহারে আলম মঞ্জু
প্রিয় বন্ধু গদায়,
তোমার পত্রখানি হাতে পাইলাম।
মনোযোগ সহ পাঠ করিলাম ।
পত্নীর সনে মনোমালিন্য তুঙ্গে,
কারন, লিখিয়াছ তুচ্ছ বড্ড ।
সংসার আঙিনায় যা থাকে সদা সঙ্গে ।
লিখিয়াছ আরও
মনে কালো মেঘ
জমিয়াছে অনেক।
বিষ হয়ে যেন উঠিয়াছে জীবন
এর চেয়ে ভাল বুঝিবা মরণ ।
যত অভিযোগ করিয়াছ তাকে,
কিছুটা ত্রুটি হয়নি কি তোমাতে ?
পারিয়াছ কি তুমি বুঝিতে পত্নীকে
অথবা কিছুটা নিজেকে ?
আরও যা লিখিয়াছ,
পত্রখানির মধ্যখানটায়।
ভাবিতেছি, কি করে এতোটা পাষন্ড ভাবনা
ভর করে তোমাদের মাথায় ?
সাই দিতে পারিলাম না
তোমার এ-হেন অবিবেচনায়।
বন্ধু বলিয়াই লিখিলাম গদায়,
পত্নী কখনো নয়তো
মূলধনে কেনা সম্পত্তি
অথবা সাজানো আসবাব
কি-বা হেঁশেলের খুন্তি, কড়াই ।
চাইলেই পালটিয়ে নেবে
অথবা চড়া দামে বিকিয়া দেবে !
পতি হয়ে তাই নিজেকে চিনিয়াই
তাকে চেনা চায় ।
ইতি .........
--------------------------------------------------------------------
৪২
বাংলা কবিতা
- সুবীর কাস্মীর পেরেরা
(বাংলা কবিতার আড্ডায় একজঙ্কে পেয়েছে, তিনি লিখেন না কিন্তু আমাদের কবিতার একনিস্ঠ পাঠক। তিনি কবিতা খুব ভালোবাসে, এব্ং কবিতা পড়ে তার ভালো লাগাগুলো ওয়ালে পোস্ট করেন, শদ্ধাবনতঃ হয়ে তাকে প্রণাম জানাতে চাই। তিনি আমাদের সবার প্রিয় সৌখিন কবিতা পাঠক। আজকে আমার কবিতাখানি তার চরণে নিবেদন করলাম। ভালো থাকুন সৌখিন কবিতা পাঠক- আপনার সুবীর)
বাং- বাংলাকে দিয়েছি স্থান
আমার মায়ের পরে
বাংলা বর্ণের আলোক সূর্য
সারা বিশ্বের ঘরে ঘরে।
লা-লালনের দেশে লালনের গানে
হাজার কথার মালা,
এমন বাংলায় ছড়িয়ে আছে
জারী-সারি আর যাত্রা।পালা।
ক-কোকিলের কুহু ডাকে
বাউল বাধে গান,
রাখাল ছেলের বাশীর সুরে
জুড়ায় ক্লান্ত প্রাণ।
বি-বৈশাখের মাসে বিকেল বেলা
বাংলা নব সাজে,
দিন কেটে যায় গানে-মেলায়
নানা রকম কাজে।
তা-তালে তালে সুর-ছন্দে
রং ছড়ানো ভোরে,
আমার-তোমার দেখা হবে
বাংলা কবিতার আসরে।
--------------------------------------------------------------------