জীবনে কিছু ভাবনা ফিরে ফিরে আসে
যতই আমি ভাবতে না চাই তারে
তবু সে ঘুম ভাঙ্গিয়ে যায় বারে বারে
আমার যে আর ঘুম হয় না রাতে
ভেবে ভেবে শরীর খারাপ হয় আমার
চারদিকে অন্ধকার হয়ে যায় আমার
কিভাবে শরীরকে আর ভালো রাখা যায়?
নিজের শরীরকে নিয়ে কি ভাবি না আমি?
সবাই কি মনে মনে আবার শিশু হতে চায়?
তবুও শরীর খারাপ হয়ে গেলে কি করার আছে?
মনে মনে ভাবি শরীর ঠিক রাখতে হবে কিন্তু
ক্ষতবিক্ষত মনটা কিভাবে শান্তি পায় একটু?
হাট বাজার চায়ের দোকান পাড়া প্রতিবেশী
কোথাও আমার ভালো লাগে না একটু
হাঁসির গল্প শুনলেও আমার আসে না হাঁসি
কোথাও আমি শান্তি পাই না একটু
মাঝে মাঝে ভাবি ঘুরতে যাব কোথাও
কিন্তু ঘুরতে আর যাওয়া হয় না কোনোদিনও
মাঝে মাঝে মনে হয় আর কতদিন এভাবে?
আর কতদিন বেঁচে থাকব শুধু অস্তিত্ব নিয়ে?
উপভোগ করে যেতে পারব না জীবনটাকে?
উপভোগ করে যেতে পারব না পৃথিবীটাকে?
জানি ভাই বোন স্ত্রী সন্তান বন্ধু সবাইকে ছেড়ে
একদিন চলে যেতে হবে তবু যাবার আগে
জীবনে কিছু ভাবনা ফিরে ফিরে আসে
নিজেকে তখন অর্থহীন মনে হয় শুধু
আজও মনে মনে কিছু করতে ইচ্ছে করে
সবার কথা ভাবি কিন্তু পারি না করতে কিছু
হঠাৎ একদিন ফালতু ফালতু মরে গেলে
মানুষ ক’দিন মনে রাখবে আমাকে?
তাই আপন মনে আপন কর্ম করে চলি
যদি কর্ম হয় সঠিক ফল পাব নিশ্চিত জানি
ফল দেওয়ার যিনি ঠিক ফল দেবেন তিনি
ভাবনাকে রাখলে সঠিক ফল পাব আমি জানি
তবেই আমার জীবন হবে পূর্ণ সফল ও সুখী
কর্মই ধর্ম কর্মই আমার পরিচয় আমি জানি
তবুও মাঝে মাঝে যখন একা হয়ে যাই
তখন অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে
যেদিন প্রথম বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাই
সেদিনের কথাও খুব মনে পড়ে
বিয়ের পর যেদিন কার্শিয়াং ঘুরতে যাই
সেদিনের কথাও খুব মনে পড়ে
তবু মাঝে মাঝে মনে হয় যেন আমি
পুরনো দিনের সব কথা ভূলে যাচ্ছি
কতদিন আগের সেই পুরনো স্মৃতি
কিন্তু আজও আমি ভুলিনি কিছুই
আজও খুঁজে পাই নিজের মনটাকে
আজও খুঁজে পাই নিজের ইচ্ছেগুলোকে
আজও কিছু কিছু ভাবনা ফিরে ফিরে আসে
যেদিন বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম ভুটানে
নুরভাইয়া আমাকে আশ্রয় দিয়েছিল
নুরভাইয়া আমাকে কাজ দিয়েছিল
বিধানদা আমাকে নিয়ে গিয়েছিল কোলকাতা
বিধানদা না হলে চাকরিটা ফিরে পেতাম না
আমার নিঃসঙ্গ একলা জীবন
একা হলেই অনেক কথা মনে হয়
শুধু ভাবি আর ভাবি কেন এই দুঃখের জীবন?
কেন জীবনটাকে আমার শুধু অর্থহীন মনে হয়?
কেন শুধু শুধু হতাশা নিরাশা আর অভিমান
আমি ভাবি কবে আমি আবার শিশু হব?