ঘুটঘুটে কালো রাত।
কানপেতে শোনা যায় প্যাঁচার আওয়াজ।
এক নিমিষে পার হবো সীমান্তে কাটাতাঁরের দেওয়াল।
এদিকে সংসারে বড় টানাটানি,
ওপাড়ে টাকার হাতছানি।
আজ দু-দিন হলো,চুলোয় চড়েনি ভাতের হাড়ি।
কোন ভাবে পার হলে একবার,
কে আছে ফেরায় আমায় আবার।
ওপাড়ে,গণেষের কাছে গরু রাখা আছে।
সব ঠিক করা।
এপাড়ে,ব্যাপারী আছে বাজারের কাছে।
এনে দিলেই কাজ সারা।
পেয়ে যাবো কমিশন।
টাকার দরকার ভীষণ।
খুব সাবধানে যেতে হবে আমার,
এদিকটায় কোথাও আছে বিডিআর।
আজ রাত ভালো,অমবস্যার অন্ধকার।
কেউ নেই দেখার।
চুপচাপ বসে আছি।
মশাগুলো জ্বালাচ্ছে ভীষণ।
সারাক্ষণ করছে ভনভন।
নিজেদের মাঝে করছে বিবাদ।
কেউ কেউ পেয়ে গেছে রক্তের স্বাদ।
এখানে বসে আছি অনেকক্ষণ ধরে,
বিডিআর চলে গেলে যাবো ওপারে।
ঐ তো চলে গেলো বিডিআর গুলো।
এবার যাবার ঠিক সময় হলো।
কিছু দূর গেলেই পাবো সীমানা।
অন্ধকারে কিছু চোখে পড়েনা।
কোথায় এলাম!কিসের শব্দ হলো?
কোথা থেকে এলো এই সার্চলাইটের আলো?
বিএসএফ-এর দল,করছে পাহাড়ার জায়গা বদল।
কি করে যাই এখন গণেশের কাছে?
সে তো এসে নিমতলায় ঠিক বসে আছে।
এদিকে এই জানোয়ারের দল।
জানোয়ার এই বিএসএফ গুলি।
একেকটার এক হাতীর বল।
দেখতে পেলে নিশ্চিত করে দেবে গুলি।
গুলির শব্দ হলো!উফ;
কি যে বিধলো শরীরে,ভীষণ জ্বালা।
শরীরে বইছে রক্তের নালা।
হাটুতে গুলি লেগেছে এবার।
যে করে হোক বাঁচতে হবেই আমার।
কি করে যে যাই,অসহ্য ব্যাথা পায়ে।
পথ চেয়ে বসে আছে বাচ্চার মায়ে।
বাড়িতে আমার দুটি ফুটফুটে মেয়ে।
যদিও দুদিন প্রায় আছে না খেয়ে।
তবুও কি শান্ত হাসি-হাসি মুখ,
ওখানেই আমার দুনিয়ার সুখ।
পারছি না আর।শরীর অসার।
তবে কি জীবণ মেনে গেলো হার।