আকাশকে স্বাক্ষী করে ছিলে, বাতাসকেও
তাই আমি ছুটি আকাশের কাছে, বাতাসের গায়ে
বাতাসকে বলি, কিছুতো বলো.....
বাতাস কিচ্ছু বলে না।
শুধু হাসে,আর দোল খায়।
সবুজ ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে বয়ে যায়
বাতাস দোল খেতে-খেতে হাসে,
হাসতে-হাসতে দোল খায়।
আমি ঐ পাহাড়ের চূড়া ধরে আকাশের কাছে গিয়ে ছিলাম
আকাশ বলে,''কিচ্ছু বলার নেই, সমস্ত কিছু লিখে রেখেছি ঐ পাহাড়ের গায়''।
আমি আকাশের দিকে তাকাই......
বলি, পাহাড়ের গায়ে এতো নোংরা কেনো?
আকাশ বলে,''পাহাড় ধুয়ে দেখো''।
হৃদয়কোনে নুতন সুর যাচ্ছে বুঝি ছুঁয়ে,
যাবো আমি পাহাড় ধুতে সমুদ্রকে নিয়ে।
আকাশ বলে,
''সমুদ্র আর শুনতে কি পায় তোমার মনের সুর,
তার বুকে তে উথলে উঠে সূর্য ডাকা ভোর''।
তবুও এই পৃথিবীর সকাল-বিকাল,সন্ধ্যা সাজায়
আমার মনের গোপনে স্বপ্ন বাঁশি বাজায়।
তাই শুনে,আকাশ বলে
"সমুদ্র কি তোমার কথায় পাহাড় দিবে ধুয়ে,
সমুদ্র যে ব্যস্ত বেশি মেঘমালাকে নিয়ে"।
দেখি..........
মেঘমালা তার নিজের দেহে স্বপ্ন এঁকে চলে
সময় পেলে পাহাড়টাতে বৃষ্টি দেবে ঢেলে।
তাই ভেবে মেঘের কাছে আর্জি নিয়ে ছুটি,
মেঘ তখন বাঁধছে তার কালো রঙের ঝুটি।
আর্জি শুনে মেঘের ঝুটি পরলো হটাৎ নূয়ে,
মেঘের ঝুটি বৃষ্টি হয়ে পাহাড় দিলো ধুয়ে।
সদ্য ভেজা পাহাড়টার সকল কোনায় কানায়,
খুঁজে খুঁজে পাই যে সেথায়,শুধুই আমি আমায়।
নেইতো কোথাও কোনো রকম বিস্ময়ের চাবি,
বইয়েতে লেখা সবই কি তবে শুধুই হাবিজাবি।
বৃষ্টিভেজা পাহাড়টাকে লাগছে ধূ-ধূ, ধূ-ধূ।
তাহলে কি সকল কিছুই শুধুই শুধু-শুধু।