সন্ধ্যার গাড়িতে আসে রাতের ললনারা
আসে রঙ্গিন করতে রংহীন রাত্রিকে।
দু-কান বিস্ত্রিত ঠোটের হাসি,
রক্তিম ঠোট,গোধুলী গোলাপ গাল,
সোডোল দেহ আর অন্তর নিংরানো কষ্টে ঈশ্বর প্রদত্ত দেহের ব্যাবসা সাজায়।
শহরের কোন গলিতে,
নির্জন পার্কে অথবা বদ্ধ কোন হোটেলে।
এসবের মাঝে মনে পড়ে
হয়তো কখনো ভুলে,
তাকে কি পাবে ফিরে যে জীবন গেছে চলে!
কোন কূলবধু,
যে রাত্রিতে নিজেরে স্বপেছে শুধু।
সেই নিস্ঠুর বালিকা বেলা,
যখন শুরু হলো নারী হওয়ার খেলা।
তারুণ্য সে চোখেই দেখেনি,
তারও আগে দানবের পাশে কাটায়াছে যাতনার রজনী।
তার থেকে এই ভালো,
দিনের আকাশে তাঁরার আলো।
নিজের ঠায়
নিজেই করেছে আয়।
বাধেনি নিজেরে দানবের আঙ্গুলের করে।
গিয়াছে মুছে সর্বঅঙ্গের সামাজিক সতিত্বতা,
আজ সে গর্বিত নির্ভিক পতিতা।