হাজার কোটি বছর ধরে,
ঘুরে চলেছি আমি মহাকাশের পরে।
সু্র্যকে করেছি আবর্তন,
তোমাদের জন্য,
নিজেকে করেছি গঠন।
প্রথমে এলো জলরাশি,গাছপালা।
এবার আসবে তোমরা,এসেছে তোমাদের পালা।
করেছি অনুনয়,জ্বেলেছে সুর্য-দীপ।
নিজের অংগচ্ছেদে,নিজ আকাশে পরিয়েছি টিপ।
গড়েছি আমি,করেছি নিজ দেহচ্ছিন্ন।
এসব করেছি আমি শুধু তোমাদের জন্য।
এবার এসেছো তোমরা।
ছিলে বর্বর,অসভ্য।
সাজিয়েছ মোরে,সেজেছ নিজে,হয়েছ তোমরা সভ্য।
এরপর হলে আধুনিকা!
বেড়ে গেলো তোমাদের অহমিকা।
বানাচ্ছো বোমা,রাখছো আমার পাঁজরে,
আবার ছুড়ছো তারে,আমারই সৃষ্ট সাগরে।
কেঁদেছে সাগর-পেয়েছে ব্যাথা,
ভাষা নেই তাই বলেনি সে কথা।
খেলছ তোমরা এ কেমন যুধ্ব-যুধ্ব খেলা,
নিজের শক্তিতে নিজেকেই মেরেফেলা।
ভেবেছো কি একবার,কোথা থেকে কি ভাবে এলে?
জীবণের পড়ে খেলা শেষ হলে,কোথায়-বা যাবে চলে?
জন্ম দিয়াছি আমিই তোমাদের,আমার এই দেহ থেকে।
মৃত্যুর পরে,আসবে তোমরা আবার আমার বুকে।
তবে কেন,এই কিছু দিনের জন্য যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা।
যুধ্বের নামে কেন যে তোমরা ভাসাও মরণ ভেলা।
এক ভাবে এসেছো,এক স্থানে রয়েছ,
হও এক সাথে বলীয়ান।
মানব হয়েছো,জন্ম মানবের,গাও মানবতার গান।