আমি কারে বাধি বিবেকের ঘরে!
সে তো অনেক আগেই মিশে গেছে পৃথিবীর পথে-পথে।
কি করে বাধবো তারে,সে প্রাণ থেকে প্রাণে
মিশে আছে প্রতিটা জন্মদানে।
সুতা হয়ে গাঁথে জন্মমালা
মিশে রয় প্রত্যেক জীবে।
অকারণ আমন্ত্রণে ভাসে নিস্ফলা ক্লীবে।
চেয়ে দেখি আমারও প্রতি লোম কূপে
নিশিদিন তার জয়গান চলে।
তারে বাধতে গেলে অট্টহাসি দিয়ে বলে,
"জন্ম দিয়েছি তোমায়,নন্দিত নামের ছোঁয়ায়।
আমি অবশাম্ভাবী তোমার অনাগত কালে"।
আমিই তো দিয়েছি তারে ঈশ্বরের সম্মান।
শরীরে জিউসের কাম,আছে দেবতার নাম।
কোথাও নপুংশকের মতো,হয়েছে পদানত।
তবুও করেছি তার জয়গান।
গগণ-পবন-ভূবণ ভূলে,
কার্তীকের কুকুরের মতো এখনো কুকুরীর খুজে চলে।
তবে কি সৃষ্টিই ভূলে ভরা ছিলো!
এক মনে দেবতা দুটি রূপ পেলো।