আমি মারা গেছি ৭১-এ
সেই স্বপ্নদ্রষ্টা পুরুষ,বজ্রকন্ঠ ধ্বনি,
মহা আহবান।
আমার বুকে গেঁথে ছিলো স্বপ্নের খনি।
বুকে স্বপ্ন এলো।
আমার মা,ঘরে থাকা নববধূ,অনাগত সন্তান
তাদের জন্যে এসেছিলো স্বপ্নের বান।
আমি সেই স্বপ্নের মোহে
ছুটে ছিলাম হানাদারের খোঁজে,বাংলার মাঠ-প্রান্তরে।
কাঁধে রাইফেল লয়ে।
একটা বুলেটে পাবো একটা হানাদার।
মুক্ত করবো স্বপ্ন আর দেশ-মাটি
কখনো সম্মুখ যুদ্ধ,কখনো বা গেরিলা হানা।
আমি তখন উদ্দ্যত যুবক,মেলে ধরেছি স্বপ্নের দু-ডানা।
কাঁধে ঝোলা রাইফেল,গর্জেছে হাজার বার।
তখন অক্টোবর মাস,
তারিখটা ছিলো ষোল।
হানাদার খুজে ফিরি,
হাঠাৎ মুখো-মুখি...
যুদ্ধ শুরু হলো।
কে করে আর জীবণের পরোয়া,
স্বপ্নেরা তখন আকাশ ছোঁয়া।
চোখে-মুখে ভাসে স্বপ্নের সুখ,
রাইফেল খুজে শত্রুর বুক।
একটা বুলেট বিধে যায় বুকে,
ভেঙ্গে যায় স্বপ্নে ভরা বুক।
আমি তখন মৃত্যুর দিকে,
চোখে ভাসে অনাগত মুখ।
আমার মত্যু হলো
ভেবেছিলাম,শহীদ হয়ে গেলাম!
আমার স্বপ্নেরা আজো রক্তাত পড়ে থাকে।
চিল,শকুনেরা আজো খুড়ে চলে স্বপ্নের দেহাবশেষ,
বুঝি ছিড়ে-খুড়ে করে দেবে সব নিশ্বেষ।
এখনো রক্তের তৃষ্ণা ওদের ঠোটে আর নখে।
আমার স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয় না।
ওরা আমায় শহীদ হতে দেয় না।
আমি এক মৃত মুক্তিযোদ্ধা,
যে শুধুই মারা গেছে ৭১-এ।