অথচ তোমরা ভুলে গেলে তোমাদের সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
আন্দিজ পর্বতমালা চূড়ায় দাড়িয়ে আমি চিৎকার করে ডেকেছিলাম,
তোমাদের কান অব্দি সে শব্দ পৌঁছায়নি!
কি দীর্ঘতম পথ আমি পাড়ি দিয়েছি-সমতলের মেট্রোপলিস থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে
মহাকাশ থেকে নিজের দেহকে ঝুলিয়ে দিব বলে!
তোমরা কি তা দেখনি?
তোমরা কি অস্বীকার করতে পারো আমার এসব কিছুকে?
অবশ্য তোমরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর থেকেও বেশি অক্ষম ,
ঠিক যতটা অক্ষম দিনের বেলায় একটি বাদুরের চলাফেরা,
এবং তোমরা কি ভূলে যাও বিধাতার সকল সৃষ্টিকে?
লংকা পুরীর রাবনের ন্যায় তান্ডব চালাও হৃদয়ে স্থাপিত মসজিদে,
অর্থাৎ মানুষের হৃদয় ভাঙ্গো –
যা কি না !
একটি মসজিদ ভাঙার সমতুল্য।
উক্ত ধ্বংসস্তূপগুলো বিধ্বস্ত নগরীর থেকেও বিধ্বস্ত করে আমার অন্তর্যামী কে ,
যা নিকোটিনের গন্ধ ছড়াচ্ছে আমার ফুসফুসের প্রত্যেকটি শ্বাস প্রণালীতে,
হৃদয়কে অবদমন করে মস্তিষ্ক,
আর প্রতিনিয়ত মস্তিষ্কের সাথে লড়াই করে ক্লান্ত হয় দেহ-গহ্বর।
নিজেকে শৈশব কালে সাইবেরিয়ার স্তেপভূমী অঞ্চলের ন্যায় মনে হতো ,
যা এখন নানান যাযাবর গোষ্ঠীর উত্তরসূরীগণ দখল করেছে ,
যে যেভাবে পাচ্ছে প্রয়োজন শেষে তা স্তুপভূমিতে পরিণত করচ্ছে।
অস্থিমজ্জার কটরে যেন প্রতিনিয়ত স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ,
নিউক্লিয়ার বোমার থেকেও ভয়াবহ ভাবে আমাকে আঘাত হানে।