আলোর নামে ঢেকে রাখা আঁধার,
চরিত্রের মুখোশে নোংরা খেলা।
তোমরা কি জানো,
নগ্নতার শিরদাঁড়া কতটা শক্ত?
পোশাকের আড়ালে যে শরীর লুকাও,
তাতেও ঘামে ভেজা পাপের গন্ধ।
মঞ্চে উঠে নীতির বুলি কপচাও,
অথচ পেছনের ঘরে দর-কষাকষি,
সত্যের মূল্যে গলায় ঝোলাও দামি নকল মালা।
তোমাদের পবিত্রতার অজুহাত দেখে মনে হয়,
অশ্লীলতা হয়তো তারই আরেক রূপ,
শুধু আয়নার দিকটা উল্টো।
গৃহস্থের সংসার,
যেখানে রান্নার চুলায় ধিকি ধিকি জ্বলে বঞ্চনা,
ভাতের হাঁড়িতে ফুটে ওঠে শ্রেণি-সংগ্রামের স্বাদ।
পাশের ঘরে শুয়ে থাকে ক্ষমতার পা চাটা কুকুর,
আর তার পাশেই বিছানায় নগ্ন শুয়ে আছে লোভ।
তোমরা যারা বড় বড় কথা বলো,
তোমাদের ঘরেও মেঝেতে পড়ে থাকে অভাবের বীজ,
মাঝরাতে তোমার সপাট শ্লোকেরা ভাঙে ঘরের দরজা।
তোমরা মন্দির বানাও,
তোমরা মসজিদ বানাও,
কিন্তু ঈশ্বর সেখানে বানাও বানিজ্যের দাস।
ছিহ্! একটা বার অন্তর কেপে উঠে না?
এই সমাজ কি তবে এক পেতলের থালা,
যার নিচে জমে আছে নোংরা?
তোমরা যারা সমাজপতি,
তোমাদের জিভে লাগে রাজনীতির সুগন্ধি লালসা,
তোমাদের আঙুল ছুঁয়ে যায় সম্ভ্রমের শেষ কাপড়।
তোমাদের মুখোশ খুলে গেলে,
নগ্নতাও লজ্জা পাবে—
কারণ তোমরা অশ্লীলতার নতুন সংজ্ঞা।