আমি মাংস—
ভোগের প্রসাদ,
পাকস্থলীর শৃঙ্খলে বন্দি
চিবুকের নীচে রুদ্ধ প্রাণ।
আমার স্বর ছিলো একদিন সঞ্জীবনী,
আজ তা রক্তজল ঢালা স্তব্ধতা,
শ্বাসের প্রতিটি কণা যেন
কেউ ছিঁড়ে নেয় শকুনের নখে।
কে আমি?
একদা মানব!
কেন আমি?
পরিচয়ের বোঝা!
স্নায়ুর গহীনে আঁকা ক্ষতগুলো
রক্তিম নদীর নীরব প্রবাহ।
ভালোবেসেছিলাম রোদ্দুর,
আজ ছায়ার ছোবলে অন্ধ,
মানুষের দাঁতে দাঁতে ঘৃণা,
শিরায় শিরায় হায়েনার ক্রন্দন!
কতখানি ব্যথা গিলে ফেলে
একটা দেহ নিঃশেষ হয়?
কতটুকু অবজ্ঞার আগুনে পুড়লে
অস্তিত্ব কেবল ছাই হয়ে রয়ে যায়?
আমি কি মানুষ?
নাকি বিসর্জিত মাংসপিণ্ড?
যে কেবল দাঁতাল চাহনির সামনে বধের অপেক্ষায়,
একাকী,
নিঃশেষ!
তবে শোনো—
প্রতি ছিন্ন কোষে গর্জে ওঠে বিদ্রোহ,
প্রতি দগ্ধ চামড়ায় জ্বলে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ,
যেদিন আমি ছাই থেকে উঠবো,
সেদিন রক্তের রঙেই লিখবো পরিচয়!
আমি আর মাংস নই,
আমি মহাজাগতিক প্রতিশোধ!