কবিরা মরে গেছে ভোরের আলোয়।
যখন পৃথিবী জেগে উঠেছে
শব্দহীন এক শূন্যতার মাঝে,
তাদের কলম থেমে গেছে
এক মিথ্যে সূর্যের তাপে।
তারা জানত,
শব্দগুলো আর ঘা দিতে পারবে না
অন্ধ শাসকের চামড়ায়।
তারা দেখেছে,
প্রতিটি কবিতা হয়ে উঠেছে
এক নতুন বাণিজ্যের পণ্য।
প্রেম, প্রতিবাদ, বিদ্রোহ—
সবই বিক্রি হয়ে গেছে
রাজনীতির বাজারে।
তারা মরে গেছে
কারণ রাতের গভীরতায়
যেখানে সত্য খুঁজে বেড়াত,
সেই সত্যকে গিলে খেয়েছে
শক্তির অন্ধকার।
তারা মরে গেছে,
কারণ ভোরের আলোটা
তাদের জন্য নয়—
এ আলো শুধুই মঞ্চের জন্য,
যেখানে অভিনয় চলে
প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে।
তারা জানত,
ধর্ষণের চিৎকার আর
অর্থনীতির নিঃশব্দ হাহাকার
তাদের কবিতার মলাটে বেঁধে রাখার মতো
সাহস আর বাকি নেই।
তারা মরে গেছে
কারণ পৃথিবী বাঁচতে চায়
নির্বাক, নির্বোধ, নির্বিকার হয়ে।
কবিরা ভোরের আলোয় মরে গিয়েছে,
তাদের নিঃশেষ রক্ত দিয়ে
রচনা করেছে নীরবতার ইতিহাস।
তাদের মৃত্যুর পরও
শুধু দাঁড়িয়ে থাকে কিছু ছেঁড়া পৃষ্ঠা,
যেখানে লেখা ছিল
আমাদের জীবনের অসমাপ্ত কবিতা