একটি ফুলকে ছিড়ে গুজে দিয়েছো কংকালের পাঁজরে।
যেই পাঁজরে রক্ত সঞ্চালনকারী যন্ত্র খয়ে গেছে
তোমাদের যন্ত্রার ভাগারে।
বলো!
সেই যন্ত্র কি আবার সঞ্চালিত হবে?
শকুন শকুনিরা যে মাংস ঠুকিয়ে খেয়েছে
তার গলা চিপে বের করে নিবে কি সেই মাংস!
যা কি না হাইড্রোক্লোরিক এসিডের প্রভাবে ঝলসে গিয়েছে!
ঠিক যেভাবে তোমরা বারবিকিউ এর সময় মুরগির মাংসকে ঝলসাও।
চারিদিকে পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে ,
এমন বাযে মানুষ পোড়া গন্ধ আমি শশ্মানেও পাইনি,
হতে পারে তা কংকালের শব থাকা অবস্থা ফুসফুসের গন্ধ,
যা তোমরা এতো দিন উচু উঁচু ইট ভাটার চিম্নির ধোঁয়ার গন্ধে টের পাওনি,
অথচ প্রতিনিয়ত সেই ইট ভাটার আগুন জালানো হচ্ছে
অগণিত ফুসফুস দিয়ে,
আর তৈরি করা হচ্ছে ভালোবাসা নামক ইট,
যে ইট ভাটা তুমি নিজে তৈরি করছো
সেই ইট ভাটার আগুন বহল রাখাতে
তোমার ফুসফুসকে বেচে দিছো আগ্নেয়গিরির পাথর ঝলসানো লা ভার ন্যায় আগুনের সামনে,
প্রকৃতপক্ষে যে ইট তৈরি হচ্ছে তা আর পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে না,
ঠিক যেভাবে পশ্চিম থেকে উদার উঠানো জাহাজ মরুভূমিতে এসে আটকে আছে,
ঠিক সেভাবেই তোমাদের ইটের স্তূপ তৈরি হচ্ছে,
যা কি না কোনো টাকাওয়ালা ব্যক্তির আবাসস্থান গঠন ব্যতীত কোন কাজে আসে না।
অথচ বোকা বালকেরা হরিনীর সাবকের ন্যায় লাফাতে লাফাতে ছুটে ভালোবাসা নামক ইট কারখানার পিছনে,
সে তা বুঝে উঠার আগেই কোনো এক শিকারির তীর এসে ছেদ করে যায় তার গ্রীবা কিংবা কলিজা,
আতপর উক্ত হরিণের কস্তুরি নাভি কেটে
সুগন্ধি উৎপাদন করে।
যা কি না সেই শিকারীর দেহকে মুহুরমুহ সুঘ্রাণ দেয় মুল্যতো সেই ঘ্রাণে মোহিত হয়
পৃথিবীর সকল প্রেমিকা,
যার কাঁধে ভর করে শিকারী ফাটায় জরায়ু।
এবং ঝড় তোলে হারিকেন আইডার ন্যায়
ঠিক যেভাবে লুইজিয়ানা উঠে ছিলো
তেমনি ভাবেই ঝড় তোলে তোমার প্রেমিকার
বক্ষে ও নাভির নিচে,
যা তোমার সম্যক্ দ্রষ্টা হিসাবে দেখা ব্যাতিত কিছুর কারার থাকে।
কেনোনা তুমি লড়াই করছো স্রষ্টার দেয়া নিয়তির সংগে এবং কে বা কবে জিতেছে জিতেছে বলো?
ভূলে গিয়েছো বানর গুলোর গাছ থেকে গাছান্তরে লাফিয়ে বেড়ানোর দৃশ্য,
যার ন্যায় লাফিয়ে বেড়াচ্ছো তুমি,
হয়েছো রাত জাগা প্যাঁচা
বস্তুত সেই রাত তোমার হৃদয়ে
রক্তক্ষরণ ব্যাতিত আর কিছুই দেয় নি।