ও বুনো মেঘ জানি বনবাসী তোর মন
ঝরায়ে বর্ষা একটু জানি পালাবি অনুক্ষণ
তোর দয়ায় খরার ক্ষত চিহ্ন টা যাক না।
ও বুনো মেঘ তুই থাক না।
অমল নয়নে যে চাতকীনি চেয়েছিল তোর পানে
শ্রাবণ মেঘের গান গেয়েছিল পবনের কানে
তোর বর্ষাভরা শরীর খানি একটু তারে মাখ না।
ও পরদেশি বুনো মেঘ তুই থাক না।
জানি নিয়তির ঘায়ে টুটাবে তোরে অরুণ আলো
তার ভয়ে কি ঝরবি না রে ও মেঘ কৃষ্ণকালো
তোর জলে পিপাসু তনু ভিজে যাক না।
ও বুনো মেঘ দোহাই তোর তুই থাক না।
যে গান ভরে প্রান এসেছিলি গগনপটে
যে কালো হাসি দিয়েছিলি আকাশে রটে
সে হাসির খেলায় মন পুকুরে অঝোর শ্রাবণ হোক না
ও বুনো মেঘ থাকতে তোরে হবেই তুই থাক না।
পালাবি যদি এলি কেন রে অলকা হতে
স্নিগ্ধ শ্রাবনের সিক্ত ফরমান সাথে
বাকির ভবিতব্য বাকি থাক না।
ও বনবাসী বুনো মেঘ তুই বর্তমানে বেচে থাক না।
নিখিল হৃদি পটে তোর শাওন ধারা
রাখবো ধরে নিমেষহারা
তোর বারিধারা হৃদমাঝারে বর্ষার গান গাক না
ও পরবাসী ভিনদেশী বুনো মেঘ
তোর খেয়ালে তুই থাকবি বেচে থাক না।