আজও উদ্ভাবনার গভীর অতলে ডুবেছি অনর্গল
তবুও তাে ভালােবাসার সেই নীড় খুঁজে পেলাম না।
নির্মম প্রলেপে ঢাকা-
ছােট ছােট ঝিনুকের মত শব্দ কুড়িয়ে
আমি অব্যক্ত বেদনার শত কাব্যমালা গেঁথে গেলাম।
আজও ভাষাহীন কিছু নিভৃত শব্দ
বেজে ওঠে তুমুল তিমিরে
শরীরের তীব্রতম তপ্ত অনলের সেই গভীর উল্লাসে
মরীচিকা দেখেই তাে তৃষ্ণা মিটিয়েছি আজীবন।
আমি আর কি বা পেতে পারি জীবনের এই নষ্টনীড়ে।
আকাশ ছুঁতে গিয়েও আমি মৃত্যুসুখ পাইনি আজও,
তাই আকাশটা দেখ আজও নীল।
আমি সহস্র দিন বেদনার বিষ পান করে
আজ হয়েছি নীলকণ্ঠ।
আমায় তুমি আর কোন বেদনার কাব্য শােনাবে।
সেই তপ্ত অনলের দহনিত কঠিন শিলার হৃদ পাথরে
তােমার নামটি লিখেছিলাম কত যতনে।
নির্মল সমীরণে প্রভাতরশ্মি আসেনি,
উষ্ণ হয়েছে আগুন,
কোনো একদিন বৃষ্টি হবে বলেছিলে,
তবু শাশ্বত কাল ঝরিছে আগুন।
সেই তন্বী দহনে ঝলসে যাওয়া
আমার আঁখিদ্বয় হয়েছে আজ জলরাশির তুমুল ভিড়।
আজ সেই প্রণয় নদীর ভেলায় ভেসে জীবন হল নষ্টনীড়।