রােজ মধ্যরাত, নিদ্রা আমার শরীর ছেড়ে
প্রবেশ করে অন্য কোনাে ক্লান্ত শরীরে।
আমি তখন অলসতা ঝেড়ে ফেলে
জেগে দেখি পৃথিবীর এক অন্য রূপ,
যেখানে কোথাও নেই চঞ্চলতা নেই জয়ের উল্লাস।
আমি মনে করি হয়তো জয়ের শীর্ষে
আমি সমাপ্তির রেখা টেনেছি
তাই পৃথিবীর বুকে কোথাও জয়ের উৎফুল্লতা নেই,
নেই কোনাে নিষ্ঠুরতা, নেই কোনাে দুর্ভিক্ষতা।
শুধু আছে নির্বাক কিছু জোনাকিরা,
যারা পৃথিবীর জন্ম থেকেই স্বপ্ন কুড়িয়ে বাঁচে।

যখন আমি খোলা জানালায় প্রেম আহ্বান করি-
তখনই রােজ একটা উজ্জ্বল বিন্দুরশ্মি
আমার দিকে তীব্র ভাবে ধেয়ে আসে।
আমি উন্মাদ হয়ে যাই তাকে স্পর্শের তাড়নায়, 
কিন্তু কাছে এলেই কেন জানি না
সে প্রবেশ করে অন্য জানালায়,
আমি জানি না ও জোনাকি, না প্রেম রশ্মি।

আজ আর সেই মধ্যরাত ফিরে আসে না
জানালা খুললেই শুধু দেখা যায় জয়ের তাড়ণায়-
মানব প্রাণীর ধ্বংসাবশেষ।
দেখা যায় মর্তের ধূলিতে দুর্ভিক্ষের নানা সংগ্রাম।
তারা একটা প্রাণ বেঁচে থাকার তাগিদে
রক্ত ঝরায় রােজ পৃথিবীর মানচিত্রে।
জীবন পথে চক্রের ন্যায় ঘুরতে ঘুরতে
আমিও আজ ক্লান্ত এক দুরূহ পথচারী।
তবে আজও একটু আঁধার পেলেই
আমি শুধু খুঁজে বেড়াই সেই বিন্দুরশ্মি।
তাই জানালার পাশে ডাকি মধ্যরাত।