কী প্রয়োজন-
রাত জেগে তোমার জন্য কবিতা লেখার।
তুমি শব্দের অভিধান হয়েও তো
তোমাকে বোঝাতে হয়, কোন শব্দের কি অর্থ,
কখনো-বা তীব্র আলোর জ্যোতি হয়েও
তোমাকে বোঝাতে হয়, মিট মিট করে জ্বলা
সারাটা রাতের সেই টেবিলল্যাম্পের কথা।
তোমার তো মৃদু আলো পছন্দ হয়না
ইলেকট্রিকের যুগ এখন,
মোমের আলোতে ভালোবাসাও দেখা যায়না।
আচ্ছা! আমার কি কোনো প্রয়োজন ছিল,
যৌবনের উঠন জুড়ে স্বপ্নের বীজ রোপন করার।
সেই তো চোখের ভেতর হবে তুষার জমাট, নামবে বারিধারা
বর্ষা এলেই হৃদি আমার ভেসে যাবে সেই স্রোতে।
কি প্রয়োজন, এতোটা মাটি খোঁড়ার
সেই তো অধরা চাঁদ, ভাসবে নদীর বুকে।
তবু শরীরের বাইরে যুদ্ধের সাইরেন
যেন আজও বেজেই চলেছে অবিরত।
কতবার ভেবেছি এবার বিদ্রোহী হবো
হোক ক্ষত, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক হৃদপিন্ড,
শরীর থেকে আলাদা হোক মস্তিষ্ক
শব্দ ছুড়ে বিদ্ধ করবোই শত অমানবিকতাকে।
কাগজের মনটাও হয়েছে ভীষণ অভিলাষী,
যেন রণক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে অস্ত্র হাতে আমি এক ব্যর্থ প্রেমিক।
বলতে কি পারো-
কি প্রয়োজন এতোটা ক্ষয়ের অভিলাষ।