চব্বিশ বসন্ত ধরে
আমি শুধু দেখে যাচ্ছি পৃথিবীর এই বিবর্ণ রূপ,
না জানি কত তারা খসে পড়ে জমেছে মাটির গভীরে।
আজ ওই ছোট্ট ছেলেটির দিকে তাকালেই
আমার সেই শৈশব মনে পড়ে যায়,
ধোঁয়াশার মত এক রংহীন প্রতিচ্ছবি।
মনে পড়ে যায় সেই প্রথম টিনের তৈরি বাক্সের ভেতর
মা রেখেছিল সিলেট আর পেন্সিল
বলেছিল এক টুকরো পেন্সিলই তোমার ভবিষ্যৎ।
তখন অজ্ঞাত মস্তিস্কে বোকা মানসিকতায়
অজান্তেই আমার ভবিষ্যৎ ভেঙ্গে ভেঙ্গে বন্ধুদের দিয়েছি।
বর্ষায় কাদা মাটি মেখে করেছে শত বৎসর খেলার মাঠে
গাছে উঠে রোজ করেছি ফল চুরি।
নদীর জলে ধরেছি মাছ, সাঁতার কেটে শরীর করেছি পার
ক্লান্তি বোধ বুঝিনি কোনদিন।
এভাবেই আমার শৈশব কেটেছে গত হয়েছে এক একটা বছর
আজ চব্বিশ বসন্ত পরে দেখি পৃথিবীর এই বিবর্ণ রূপ।
আজ শৈশবে কেউ খেলতে আসে না মাঠে,
তারা সেল ফোনে খেলা করে অতি আধুনিক খেলা
সে লিচু গাছটিও আজ বুড়ো হয়ে গেছে
কাউকে দেখি না সে লিচু গাছের নিচে।
চুরি করে নয়, টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারে কয়েক ডজন লিচু।
বর্ষা এলে আজ সকলেই ঘরের কোনে চুপ করে বসে থাকে
নদীর জলেও কেউ সাঁতার কাটেনা
মাছেরাও যেন আনন্দে বাস করে।
আজ চব্বিশ বসন্ত পরে হঠাৎই আমার মনে পরে সেই শৈশব
সেই নার্সারি থেকে উচ্চ বিদ্যালয় তারপর মহাবিদ্যালয়।
শেষে বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে বয়ে যেতে হয়
আমি চব্বিশ বসন্ত ধরে বয়ে যাচ্ছি একটা নদীর মত
বয়ে যাচ্ছি অজানা এক সাগরের কিনারে
যেখানে সূর্য ওঠে রোজ।