আর্তনাদ ছিল, এক কঠিন আর্তনাদ
সেদিন জীবনের চারিপাশে।
জানালার কাচ ভাঙা শব্দে হঠৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া
এক তীব্র ঝড়ের সম্মুখীন এ শরীর।
অবাধ সঞ্চারী হাওয়া সেদিন তিমির পরিবেশে,
একটা আলো এসে পড়েছিল সেদিন বুকের বাম পাশে।
সে কি অনল প্রলেপ উষ্ণতা তার,
নির্লিপ্ত একাগ্রতাকে যেন অপ্রতিভ করেছিল কুহক,
আমি বুঝেছিলাম, সেদিন সময় ছিল শুধু ভালোবাসার।

কিন্তু না সেদিনও ছিল ভুল জীবনের হিসেব
আমার অজ্ঞাত অনুভূতি-
তোমার পূর্বপ্রেম ছিল সেদিন মরীচিকার সমান্তরাল।
তাই মৌনতার পরাজয় ঘটাতে এসেছিলে-
এসেছিলে স্মৃতি সমাধির প্রয়োজনে।
পেরেছো কি প্রথম প্রেম ভুলে যেতে-
তবুও রাতের পর রাত-
কেন আমার স্বপ্নের ভেতর উষ্ণতা ঢেলেছিলে?
কেন প্রত্যেহ দীপ্ত করেছিলে জীবন সায়াহ্ন।
বিন্দু বিন্দু অবহেলায় সিন্ধু করেছিলে ঘৃণার সাগর,
কেন সমারহের দোসর সীমান্তে করেছিলে বিসর্জন।

আর্তনাদ এক কঠিন আর্তনাদ আজও তোমাকে ঘিরে
একটু ভালোবাসাই তো চেয়েছিল মন।
যোগ্য অযোগ্যের হিসেব কষেছো শত প্রহর
দ্বন্দ্বের ভিড়ে শরীর রেখেছো লুকিয়ে।
যদিও জীবনে অনেক করেছি ভুল
রাত্রির দাবানলে ক্ষয় করেছে শরীর জয়,
তবুও তোমার দীপ্ত কনীনিকা দেখে আজও আধার ভুলে যাই।
ভুলে যাই সেদিন তোমার আবেগ গুলো ছিল-
মোমের শিখার মতোই সাময়িক।
তবুও আমি বিবেক নিয়ে আজও সূর্যের মতো জ্বলে উঠি।