সোমু, আমি দেখতে পাচ্ছি- এ জীবনটাও আজ
রাজনৈতিক যাঁতাকলে কিভাবে পিষে দিচ্ছে।
কবির কবিত্বে আঘাত হেনে একদল শাসক বলছে
তোমার কবিতায় আমাদের কথা লিখো।
আর একদল বলছে না-
বাঁচতে হলে লিখো আমাদের কথা।
লিখো আমাদের নাম, তাতে লিখো আমাদের জয়।
সেই জয় পরাজয়ের লেলিহান শিখা
আমার শান্ত অরণ্যে আজ দাবানল হয়ে জ্বলে উঠছে।
আমি পারিনি এক আকাশ ভালোবাসার অসুখ নিয়ে
প্রতিবাদের শব্দ কুড়িয়ে-
দু-চার লাইন প্রতিবাদ লিখে যেতে।
এই বিবর্ণ পৃথিবীর না বলা উড়ন্ত কথাগুলো
আমাকেও যে ডাকে সারারাত।
আমি পারিনি মানবতার উপমায়
এই তুমুল অন্ধকারে একটা পূর্ণিমা এনে দিতে।
এতো ব্যস্ততার মাঝেও যখনই একট লিখতে বসি
তখনই তুমি এসে আমার আঙ্গুল ঘুড়িয়ে দাও।
আজও অনুভবের স্বচ্ছ পাতা জুড়ে
তোমার মুখখানি কেমন অমলিন নির্মলতা নিয়ে
আমার কনীনিকার দিকে চেয়ে থাকে।
তখনই হঠাৎ ভুলে যাই আমি স্বভাব কবি
তাই পৃথিবীতে এতো কিছু ঘটে যায়-
তবুও আমি, আজও তোমাকেই লিখি।