আজও আমার শূণ্যতার ভেতর একটা তুমি খুঁজি
যে তুমি আমার অহংকার গুলোকে মাটির গভীরে পুতে
ভালোবাসার বৃক্ষ তৈরি করবে।
যে তুমি মাটির গন্ধ ভালোবেসে বলবে
আমি মিশে যেতে চাই তোমার ওই মেঠো শরীরে।
আজও আমার অন্ধকার ঘরে একটা তুমি খুঁজি
যে তুমি মোমের শিখার মতো আলো নিয়ে
আমার কবিতার পাশে এসে বসবে
আমাকে উদাসীন সঙ্গম শেখাবে।
শত নীরবতার নিঃশব্দ চিৎকার
যদি কখনো বুকের ভেতর পাহাড় খোঁজে
সে ঝর্ণার মতো এসে জীবন পথে বয়ে যাওয়া শেখাবে
আমি বয়ে যাবো, যেভাবে নদী বয়ে যায়।
আজও যে আমার শরীরের ভেতর
একটা উত্তপ্ত আগ্নেয়গিরি দেখি
তখন মেঘে ঢাকা হিমের নাম রাখি অভিমান
পুড়তে থাকা শরীরের সেই রক্তিম লাভাগুলো তখন বরফ খোঁজে
কোন প্রান্ত থেকে নির্গত হয় জানিনা, ওরা শুধুই বরফ খোঁজে।
কখনো-বা মধ্যরাতে ঝড় এলে মাটি ফেটে যায়
শরীরের পুড়ে যাওয়া অংশগুলো কোনদিকে ছুটে যায় জানি না
ওরাও একটু হিম খোঁজে।
শুধু আমি একা সেই শূণ্যতার ভেতর একটা তুমি খুঁজি
যে তুমি আমার অন্ধকার জীবনের পাশে বসে
তার বুকের ভেতর একটা নক্ষত্র দেখাবে।