আমি রাত জাগা নিশাচর পাখি
একলা বসে তারাদের খেলা দেখি,
আর তোমার দেয়া ব্যাথার তীব্রতায়
উষ্ণ তৃষ্ণায় কেদে কেদে ভাসাই দুআখি
আমি রাতভর ডাকি তোমায়
তুমি কি শুনতে পাও
আমার হৃদয়ের অস্ফুট সে ডাক??
যদি বুঝতে পারো শিশির প্রাতে
তবে থাকো কেনো নির্বাক??
আমি যখন আনমনে কথা বলি
তুমি কি ছুতে পারো
আমার হৃদয়ে জমানো হাজারো কথা???
যদি বুঝতে পারো উষাকাল বর্ষনে
তবে কেনো এই জলন্ত হৃদয়ে দাও ব্যাথা
আমি যখন বসন্তের রাত্রীতে একা চলি
তখন ভাবি তুমি নিশ্চুপ অনুভুতিহীন
যে আমার হৃদয় করেছো খা খা শুন্য
তোমার না দেয়া দুর্বল স্পর্শ গুলো
আমায় করেছে বেহিসেবী ধন্য।
আমি যখন একলা পথের যাত্রী
তুমি তখন ব্যাথাহীন তীব্রঝড়
যে আমার হৃদয় করেছো গ্রাস
তোমার দেয়া ঝড়ের আবেগহীন মেঘ
খুজে মরি হায় দিন রাত্রী বারো মাস
আমি যখন একাকী বিশাল আকাশ তলে
তোমায় তখন ভাবি বিস্তর নীল আকাশ
যেখানে আমার নেই অবহেলায় ঠাই
তোমার দেয়া দুঃখ কালোমেঘের ওপাড়ে
নিজেকে হারিয়ে অহর্নিশি খজে পাই
আমি যখন আমাবস্যার প্রলয়ে ঘুরি
তুমি তখন তিমির রজনীতে ছড়াও
আলো
যেখানে অস্পস্ট আমার ভাংগা দেহো
তোমার ছিটানো আলোক ছটায়
চিনতে পারবেনা ভবের মায়ায় কেহো।
তুমি কি গভীর রজনীর ঘুটঘুটে অন্ধকার
যেখানে জোনাকীর থাকে বিচরণ
তোমার দেয়া সুখের বসনে
ঠাই দাড়িয়ে থাকি আমরন
তবুও তুমি এসো ফিরে আরেকবার
দেহে তুলো অসীম সাগড়ের উচু ঢেঊ
যেখানে ভাসাবো জীবনতরী আরেকবার
খুজে পাবেনা ভবের যাতনায় আর কেউ।
আজ রাতের আকাশে বড্ড আবেগ
অশান্ত হয়ে উঠেছে দেহের প্রতিটি অংগে
কালো হয়ে উঠেছে ঝড়ের বেগ
দেখছি মেঘমালা খেলছে নানান ঢংগে
তাই একলা ভাবনায় আমার হৃদয়ের ক্ষয় দেখি তোমার নিরব প্রস্থানের জয়ে
আর শুনি তোমার অট্ট হাসির প্রশ্নবান
শুনি জোনাকীর আলোয় হারানোর গান।