তোমা হতে অনেক দূরে যেতে চাই এঘর ছেড়ে
অবিশ্বাস গেছে বেড়ে তাই চাইনা কেউ যাই হেরে
আমি মুল্যহীন হয়ে পড়েছি এঘর সংসারে
সর্বদা জ্যান্ত লাশ বানিয়ে বিদায় দাও মোরে
সর্বকাজে খুজে পাও ভুল নানা শব্দ ধরে ধরে
এমনতো ছিলনা কথায় ভালবেসেছিলাম যারে
আমি একা নই কেবল কষ্ট পাও তুমি নিজে
ক্ষোভের সোচ্চার হলে দুঃখ ভাসে কপালের ভাজে
খুজে পাও শত বিচ্যুতি,ভ্রান্ত আখ্যা সকল কাজে
নিদ্রাহীনতায় ঘুমাতুর চোখে স্বপ্ন দেখি সকাল সাজে
তুমি! বাকপটু বটে, নিন্দা গীবত আর হিংসা করতে
তুমি দিলেও না নিলেওনা সুখের জীবন গড়তে৷
দোর্দন্ড প্রতাপ তোমার, তুমি ভাষার জাদুকর
কথার তোড়ে সত্যকে বানাও মিথ্যে ভয়ংকর
কথার জালে ফেলে তুমি আঘাত করতে বদ্ধ পরিকর
দোষী বানাতে সিদ্ধহস্ত তুমি,তোমার এটাই অহংকার
তোমার অহংকারের জাদুমন্ত্রে আমি নিরব স্বাক্ষী বটে
কখনও প্রতিবাদে বললে কথা দেহে আঘাত জোটে
তখন হয়ত এলোমেলো দুচার কথা বলি রাগের চোটে
তাই নিয়ে তোমার বহুমাত্রিক ধনমনে মাত্রাহীন কিছু
ঘটে
ক্ষোভের মাত্রায় যোগ হয় অতীতের মিথ্যে অপবাদ,
কথার তীব্রতায় বেড়ে যায় তখন আপন দেহের কাধ৷
ভুল থাকুক বা না থাকুক তবুও পাতো দোষীর ফাদ,
তখন আমার ভিতরে ভেংগে যায় ধৈর্য্যের বাধ৷
এসব কিছুতে যদি করি সামান্য প্রতিবাদ,হয় তখন নির্যাতন
যদি সয়ে যাই তবে আমি কাপুরুষ, পাই নির্বাসন
বজ্রচিৎকারে ফেটে যায় কর্ণ, ভেংগে যায় মন
অচেনা আমাকে তখন মনে হয় চরম অর্বাচীন
এমনে শুরু হয় তখন সীমাহীন ঘৃনার চলাচল
আপনমনে চোখের কোনে জল করে টলমল
এ থেকে নিস্তার হবে কিসে, ভাবনায় গন্ডগল
মনে হয় তখন আমার মৃত্যুই একমাত্র সমাধান৷
তোমার সুখের লাগি আমায় বলো মরতে
মৃত্যুই দেখবে তবুও চাওনা তুমি হারতে।।।।।।।।
বাস্তবতা, চরম সত্য কথন#