দিগন্তের কাছাকাছি রক্তকলি ছুয়ে দিল মন
দেখছি নেত্র মেলিয়া আনমনে ভাবমগ্নতায় সারাক্ষণ
লালনীল হলুদের ছন্দে আকাশটা ছিল আজ আকুলতায় ভরা
এমনও সন্ধ্যেয় দুজনের চায়ে কাপে থাকে আবেগের ছোয়া
ধোয়ায় আচ্ছন্ন নিভু নিভু আলোতে
আবছা দেখতে তোমায় ভীষন লাগে,
তোমার এলোমেলো চুলে ঢেকে যাওয়া চোখ
মুগ্ধতায় ছুয়ে  দেয় আমার আবেগি মনকে
ইচ্ছে গুলো ঘুরেফিরে ক্লান্ত হয় অবসরে
তোমার অবয়বে ইচ্ছেগুলো তরী ভিরায়
খুজে পায়না তোমার মুগ্ধতার ছোয়া
তোমার মুখোচ্ছবিতে বিষন্ন বিরক্তি দেখে
আমার চরম সুখ অনুভুত হয়
একটুও খারাপ লাগেনা আমার


২.....
ওসে চরম অবহেলায়
তুমি রইলে সুদূরে রইলে।
বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যেবেলা ছুয়ে গেলে তুমি
দিগন্তের বর্ণিল আলোয় তুমি রয়ে গেলে একা
চারিদিকে তখন  ছড়িয়ে আছে মেঘের খানিক ছটা
তুমি রইলে সেথায় চরম অবহেলায়
কখনযে  বর্ণাঢ্য আলো অন্ধকারের আবরণে ঢেকে গেছে, তুমি ঠাওর করতে পারনি, তুমি তবুও রইলে বসে সেথায়  চরম অবহেলায়,,,
একটি বৃষ্টির ফোটা তোমাকে জাগাতে পারেনি,  
ঠায় বসে তুমি দেখিছিলে দিগন্তের কাছাকাছির মেঘের ঘনঘটাগুলোকে
একবারের জন্য চোখের পলক সরাতে পারোনি তুমি,
বসে বসে ভাবলে এই দিগন্তে কেবল অবহেলারাই বেচে থাকে দোর্দন্ডে
সুর্যালোকে নিজেকে বড়ই একা মনে হলো আজি,,,  অবহেলারা বড়ই নিষ্ঠুর হয় বুঝি,
নইলে বসে রইলে কেন চরম অবহেলায়????




আজি এ ভুবনে কেটে গেলো বেলা
স্বপ্নগুলো রইলো পড়ে ও সে চরম অবহেলা
দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকেও তুমি আছো হৃদয়ের কাছাকাছি
এখনও স্বপ্নের ঘোরে দেখি অরণ্যে খেলা কানামাছি
তুমি আজো রয়েছো, পৃথিবীর কোন এক কোনে
তাইতো খুজি তোমায় ঘন জংগল বনে
জানি, ফিরবেনা তুমি আমার হৃদয়ের গহবরে
তবুও থাকি আশায় সকাল বিকেল রাত্রীরে৷