মাথা নেড়ে যে রজনীগন্ধা সম্মতি জানাচ্ছিল পিছুটানে
শেষ বিকেলে আমি তার কাছেও আলাপী ঘ্রাণ সংগ্রহ করেছি,
তখন তোর সবে মেয়েবেলা,
দামাল কিশোর তার মাধবীকে এনে দিত ফুল ,
সেদিন তার পুতুলের বিয়ে
ভেঙে গেলে সহস্র জন্মের মনখারাপ,
ঘাসের ডগায় তার প্রমাণ রেখেছি, মাধবী,
আজ কান্না জমে আছে শিশিরের প্রত্যেক ফোঁটায় ।
মাধবীও কী পুতুল ছিল তবে ?
আঁতুড়ঘরের রহস্যময় কালোয়
সেও ছিল পুতুল পুতুল মেয়ে ?
খোলা বিনুনি যখন নিয়মরক্ষার তাগিদে
খোঁপা বাঁধতে শেখায়
ঠিক তখনই
প্রত্যেক পুতুলের বুকে নীল রক্ত ঢেলে দেয় মাধবীরা ।
সেদিন যে হাতে একগোছা কুড়চি ফুল
প্রাণময়তায় খিলখিল করে হেসে উঠত
সে হাতে আজ ঘৃণ্য অপচয় লেগে আছে,
ভেঙে গেছে সব সংযম,
ঝরে গেছে অজস্র প্রাণ-সম্ভাবনা,
ফোঁটা ফোঁটা জীবন,
সেই থকথকে মাটি মেখে তোর পুতুল গড়া যেত, অবশ্য
।