ভারতমাতার প্রতি
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
অদৃশ্য রূপে বিশ্ব মাঝে ঘুরেছি কত
ছিলাম পীড়িত
আজ এসেছি তোমার কোলে,
হে-জননী আমার দিও জন্ম শতবার
প্রণাম করি তোমাকে আনন্দে অশ্রুজলে।
রূপকার তুমি, আমার জন্ম দাত্রী
গড়েছ কত মূরতি!
তোমার বুকে লক্ষ-কোটি জনতার বাস
চতুর্দিকে বাজে মধুর প্রেম গীতি।
শুনে ধন্য হলো জীবন,
হে-মাতা সঁপেছি প্রাণ তোমার চরণে!
ঋণী হয়ে এসেছি তোমাকে পেয়েছি
আজ আমার তৃষিত জীবনে।
কেউ দিয়েছে দুগ্ধ দান, কেউ দেয় খাদ্য,
বায়ু বহে সর্বক্ষণে, রবি দেয় আলো-আনন্দ-
সেজে ওঠে প্রত্যেকে!
অঝোরে ঝরে ঝর্ণাধারা সলিলে নদী ভরা,
শস্য-শ্যামলে সাজাই তোমাকে।
তোমার বুকে ফুল ফোটে বনে, সুগন্ধ ঘ্রাণে -
মন-মাতোয়ারা!
পাখি গায় গান জুড়ালো আমার প্রাণ,
রজনীর আকাশে দেখি লক্ষ-লক্ষ তারা।
হে-জননী, যদি না দিতে চরণে ঠাই
কি করে করতাম এমন অনুভব?
জপযজ্ঞ-পুণ্যতীর্থ-পবিত্র কেবল তুমি
গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী-কাবেরি স্পর্শে অমর ভূমী-
অমর তোমার কৃতী-পরিপূর্ণ বৈভব।
কত মহান, কত বলবান,
কতই না তুমি উদার!
তোমার বুকে জন্ম নিয়েছে কত মহামানব,
তোমাতে অমর-ঈশ্বর।
তাই পূজা করি তোমারে রেখেছি অন্তরে,
প্রণাম গ্রহণ করো হে-জননী!
আসতে চাই ফিরে বারে-বারে,
লিখবো তোমায় নিয়ে অজস্র কবিতা-বাণী।
রক্তে রাঙাবো চরণ, হয়েছি সমর্পণ -
সঁপেছি আমার প্রাণ!
এই কৃতদাস তোমার বুকে করে বসবাস
তোমার সেবা করতে চাই আজীবন।
হে-জননী,তোমার বুকের মাটি অতি খাঁটি
পবিত্র-প্রকৃতি পরিপাটি রূপ!
পেয়েছি শ্রেষ্ঠ সুন্দরে দেখি তোমারে
তোমার মধুর-মুরতির সম্মুখে জ্বালাই প্রদীপ-ধূপ।
করি আরতি সকাল-সন্ধ্যা রজনীগন্ধা-
ছড়ায় তোমার বুকে ঘ্রাণ!
নত মস্তকে করি নম-নম, করি শ্রদ্ধা-সম্মান।
আজ চারিদিকে বাজে তোমার জয়গান কত
বীর সজ্জিত শত-শত পুত্র-
আশীর্বাদ চায়,
ললাটে চন্দনে তোমার নাম লিখে
জেগে ওঠে দ্রোহে সবাই -
করে শত্রু মুক্ত;
আমি দেহ-প্রাণ দিয়ে তোমারে সাজিয়ে
হবো অন্তিমে তোমার বুকে নিদ্রিত-নিমজ্জিত।
রচনাকাল -৫ নভেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা ১৯ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার।
দাকোপ খুলনা বাংলাদেশ।