সীমাহীন প্রেমিক
           ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য

ভুল বুঝে চলে গেলো প্রিয়, ভালোবেসে চেয়ে তাকে
করেছি ভুল,না চাওয়াই তো ছিল শ্রেয়!
ভুল বুঝে চলে গেলো প্রিয়।
দূরে, সে-যে বহু দূরে,সাগর-নদী-পাহাড় পেরিয়ে
খুঁজেছি তারে!
এলো-না, সে তো আর ফিরে এলোনা-
দেখা দিলোনা আমারে।
ভুল বুঝে চলে গেলো প্রিয়, রিক্ত মনে শুধুই বিরহ,
আমি চেয়েছিলাম তারে আপন করে অন্তরে
তবু চলে গেলো---
ভুল বুঝে চলে গেলো প্রিয়।

ওগো-কি এমন ছিল আমার অপরাধ?
প্রভাত-ফেরি করে জাগিয়ে আমারে
দিলে প্রেমের অপবাদ।
তবে কবির বেশে এই পথে এসে
কেন দাঁড়িয়ে থাকতে অপেক্ষায়?
হাতে লাল গোলাপ,
চিরকুটে লেখা থাকতো কবিতা,
লুকোচুরি মনে কনিষ্ঠ ছুঁয়ে পথ চলতে
গোধূলি বেলায়।
জানি, হে-কবি তুমি বৈরাগ্য-উদাসীন
কাছে এসে-ও ধরা দাওনি সেদিন,
আজ বুঝেছি তোমার ছিল ক্ষণিকের প্রেম!
অবলা, পেয়েছি শুধু  অবহেলা ভাগ্যে দুর্দিন।
সীমাহীন প্রেমিক, শুধু প্রেম নিবেদন করতে চায়-
সুন্দরকে পূজা করে সুখী হয়;
অনন্ত যৌবন, বৃদ্ধ হয় না ওরা বাঁচে কবিতায়।
        
কিন্তু, এই অবেলায় অনাদরে যারা ঝরে যায়
ঝরেছে যত ব্যর্থ যৌবনা,
হে-কবি তুমি শুনেছ কি তাদের কান্না?
ওরা ভালোবাসা চায় যৌবনও দারিদ্র্য দুঃখে
ডেকেছে তোমায়
রাঙিয়েছে ঠোঁট, কাজলে এঁকেছে চোখ,
তোমাকে পেতে সেজেছে বধূ সজ্জায়।
হে-প্রিয় কোথায় বসে কি ভাবছো শুনি
আমারে করো সঙ্গিনী
অবগুণ্ঠনের অন্তরালে পথ চেয়ে আছি
অশ্রুজলে-
সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে রিক্ত রজনী।
প্রেমের দীপ জ্বালো,আলোকিত করো ভুবন
শূন্য সিঁথিতে সিঁদুর ঢেলে দিয়ে করো আপন-
আজও বাজছে কাঁকন তুমি আসবে কি?
চেনা গন্ধ ধরে কাছে এসে কত দিয়েছিলে চুম্বন
এই দেহে উঠেছিল কম্পন, তোমার অন্তরে
স্মৃতি জাগে কি?
ওগো সেই নন্দন কানন এখন আছে
পলাশ-শিমুল-কৃষ্ণচূড়া কত বসন্তে জেগেছে
রাঙিয়েছে তোমার চরণচিহ্ন
আজ শুধু তুমি নেই, বেণু আর বাজে না
দিনভর হৃদয় থাকে উদ্বিগ্ন।
কবিতা, সে তো সকলের, কবি তুমি কার?
প্রেমিক অনুভূতির!
প্রেমিকা, দিবস রজনী খোঁজে প্রেমের পূর্ণতা
জানি ঝরা ফুল চিরকাল অনাদরের।


রচনাকাল ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিস্টাব্দ,
১৯ মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।