জগত জননী মহামায়া মহিষমর্দ্দিনী তুমি,
লুণ্ঠিত হয়ে তব চরণে পড়ে চরণ ধূলি অঙ্গে মাখি আমি,
তুমি মম সখী, আমি তব সখা,
দুজনে অনুরূপ অবনীর অন্তর্যামী।
তবুও,কেন তোমার তৃষিত আকুল মন?
চকিত বর্ষণ ,
কি চায় তব অন্তর অকারণে অন্তরালে কেন করো পলায়ন?
যুগে-যুগে জাগ্রত তৃষিত মম অন্তরে নির্মল প্রেম,
তব বিহনে অন্তর তর,
ধ্যানে নিমগ্ন,
পার হয়ে যায় গ্রীষ্ম-বর্ষা-হীম।
মোর তৃষিত আকুল আঁখি,
নিঃশঙ্কে মেলে সদা ডাকে তোমায় কাছে এসো সখী,
রক্তি মনে আশায় আশায় লণ্ঠন জ্বালি,
আমি তোমাকে ভালোবাসি।
তব বিহনে বিভাবরীর বাদল ধারা, হয় মোর্ সারা,
ওগো কোথায় লুকাও? তুমি তো মোর্ গগনের তারা।
আকুল তরুতে বসন্তে যতো বকুল ফোঁটে
কুড়াই মম হাতে,
এক -একটা করে সুতায় গাঁথে
মালা পরাই তব গলে প্রতি প্রভাতীতে।
তবে কেন থাকো অভিমানে অন্তরালে?
আজ সবকিছু ভুলে এসো মম কূলে,
মোর্ মনের সব প্রেম ঢেলে দেবো -তব তোরণ মুলে।
//
উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ - খুলনা
------------///------------